মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি ->>
শ্রীনগর উপজেলার বীরতারা ইউনিয়নের খাল ও ডোবায় পানি নেই, স্থানীয় পুকুরে মিলছে না পাটজাগের জায়গা। তাই পাট নিয়ে দিশেহারা চাষি।
অন্যদিকে, সামান্য পানির সন্ধান পেলেও পাটের রং কালো হওয়া এবং মান নিম্ম মানের হবার দুশ্চিন্তাও রয়েছে তাদের। খরা পরিস্থিতি সামাল দিতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরও এ মুহর্তে কোন সমাধান দিতে পারছে না।
চারিগাঁও, নিমতলী, সাতগাঁও, মজিদপুর দয়হাটা গ্রামে পাটচাষিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত কয়েকবছরে খরা পরিস্থিতির কারণে খাল ও ডোবার পানি শুকিয়ে যাওয়া, স্থানীয় পুকুর পাটজাগের জায়গার সংকুলান না হওয়া এবং সর্বোপরি পাটচাষে দিনমজুরদের দৈনিক মজুরি অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
অবশেষে কোথাও কম পানিতে পাটজাগ দেয়া সম্ভব হলেও খাল বিলে পানি না থাকার কারনে ডুবিয়ে রাখতে জাগের ওপর মাটি চাপা দিতে হচ্ছে।
এতে পাটের রং কালো হয়ে যাচ্ছে, মান খারাপ হচ্ছে। ওসব পাটের দাম তূলনামূলক কম হবে এতে সাধারন কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত বলে তারা মনে করছেন।
শ্রীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শান্তনা রানী জানান, খরা পরিস্থিতির মত নাজুক আবহাওয়ার ওপর কারো হাত না থাকায় প্রাকৃতিকভাবে বিপর্যয়ের মুখে পাটচাষিসহ সবাই।
পাটজাগ বিষয়ে নতুন কোন প্রযুক্তি উদ্ভাবন না হওয়া পর্যন্ত পাটচাষিদের নিস্তার পাওয়া কঠিন বলে মনে করেন ওই কৃষি কর্মকর্তা।
আপনার মতামত লিখুন :