ডিমলা(নীলফামারী)প্রতিনিধি ->>
মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে বোমা বিস্ফোরণে নিহত শান্তিরক্ষা মিশনের সেনাসদস্য জাহাঙ্গীর আলমের লাশ নীলফামারীর ডিমলায় দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।
শনিবার (১৫ অক্টোবর) বেলা ১১ টায় সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে ডিমলা রাণী বৃন্দারাণী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সৈনিক জাহাঙ্গীর আলমের মরদেহ আনা হয়,এবং সেনাবাহিনীর গাড়িবহরে মরদেহ তার নিজ গ্রামের বাড়িতে নেওয়া হয়।এর পর দুপুরে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ তিতপাড়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধায়নে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তার মরদেহ দাফন করা হয়।
নিহত জাহাঙ্গীর আলমের বড় ভাই সেনা সদস্য কর্পোরাল আবুজার রহমান জানান, ২০১৫ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেন জাহাঙ্গীর।
১০ মাস আগে মধ্য আফ্রিকান প্রজাতেন্ত্রর ব্যানব্যাট -৮ এলাকার উইক্যাম্পে শান্তিরক্ষী মিশনে যান তিনি। মঙ্গলবার(৪অক্টোবর) ভোর ৪টায়(বাংলাদেশ সময়) মাটিতে পুঁতে রাখা বোমা বিস্ফোরণে তার ভাইসহ তিন বাংলাদেশী সেনাবাহিনী প্রাণ হারায়।
মঙ্গলবার সকালে সেবাবাহিনীর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মোবাইলে জাহাঙ্গীরের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন বলে জানান নিহতের ছোট ভাই বাদশা।
এরপর থেকে জাহাঙ্গীরের পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।সেদিন থেকে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছে বাবা লতিফর রহমান। মা গোলেনুর বেগম বিছানায় কাতর হয়ে পড়ে আছেন।
সদ্য বিবাহিত স্ত্রী শিমু আক্তার স্বামীর অকাল মৃত্যুতে স্তব্ধ হয়ে পড়েছেন।আর মাঝে মাঝে গগনবিদারি চিৎকারে কেঁদে উঠছেন। শুধু পরিবার নয় জাহাঙ্গীরের বাড়ির আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে শোক ছায়া।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন,উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ তিতপাড়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধায়নে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তার মরদেহ দাফন করা হয়। আল্লাহ তাকে জান্নাত দান করুক এবং তার বাবা-মা ও তার স্ত্রীকে ধৈর্য ধরার তওফিক দান করুক।
আপনার মতামত লিখুন :