ArabicBengaliEnglishHindi

মিরপুরের ফুটপাতে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দেখার কেউ নেই!


প্রকাশের সময় : অগাস্ট ১৪, ২০২২, ৬:৪৮ অপরাহ্ন / ৮৩
মিরপুরের ফুটপাতে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দেখার কেউ নেই!

এস এম জীবন ->>
বাংলাদেশে যখন বিদ্যুৎ এর সংকট, সরকার বিদ্যুৎ ব্যবহারে প্রঙ্গাপন দিয়ে লোডশেডিং এর সিদ্ধান্ত নিয়ে বিদ্যুৎ জমানোর তাদিগ দিয়ে যাচ্ছেন তখনও রাজধানীর ফুটপাত ও রাস্তার দোকানে প্রতিদিন লাখ লাখ অবৈধ বিদ্যুৎ বাতি জ্বলেই চলছে ।

 

 

শাহআলী থানার অফিসার ইনচার্জ এর কড়া নির্দেশ এ নিউমার্কেট হয়ে রুপায়ন সিটি ও জিমার্ট এর ফুটপাত বন্ধ হলেও বন্ধ হচ্ছেনা কিছু মার্কেট এর সামনের ফুটপাত।

সরকারের লোডশেডিং এর প্রঙাপনের আগে একটি বাতি থেকে দিনে গড়ে ৩০ টাকা আদায় করা হতো এখন সেটা বাড়িয়ে ৫০ টাকায় নিয়ে এসেছে যা অবৈধ সংযোগে হাতিয়ে নিচ্ছেন একটি চাঁদাবাজ চক্র এই চাঁদাবাজ চক্রটি সরকারের আইনকে বৃদ্ধাঙ্গালী দেখিয়ে যাচ্ছে অথচ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বসে বসে আরামে ঘুমাচ্ছে! তারা তো ঘুমাবেই? কারন সরকারের কাজ সরকার করে দিন শেষে চাঁদাবাজদের পকেট ভারী হলেই হলো আজকে মিরপুর ১ নং শাহআলী থানা এলায় প্রতিবেদক সারদিন সরেজমিনে গিয়ে অনুসন্ধানে তুলে আনেন শুধু বিদ্যুৎ চুরি করে কত টাকা উত্তোলন হয় তার একাংশ।

শুরু হলো মিরপুর ১ নং মুক্তবাংলা মার্কেট হয়ে বাগদাদ শপিং, মার্কেট রবিউল প্লাজা, আন-নুরী মসজিদের সামনে,হয়ে ফেয়ার মার্কেট, ছিন্নমূল মার্কেট, মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট হয়ে শাহআলী সিটি করপোরেশন মার্কেট, এক পাশে প্রায় ১২/ ১৫শত এর বেশী দোকান ফুটপাতের উপর চলে যা অবৈধ বিদ্যুৎ এর ব্যাবহারে । সে হিসাবে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে দিনে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রভাবশালী চক্র; যার কোন অংশই সরকারি কোষাগারে জমা পড়ে না। অনুসন্ধানে যানা যায় এই অবৈধ বিদ্যুৎ চোর এর মুল হোতা কবির হোসেন, তবে সে ধরাছোয়ার বাইরে সিটি কর্পোরেশন এর কর্মী হারুন এর দেওয়া সংযোগে আলাদা আলাদা লোক দিয়ে টাকা উত্তোলন করে আসে কবির হোসেন। এর কাছে এরব পর ভাগ হয় কিছু স্থানীয় নেতা, কিছু বড় ভাই, কিছু থানার অসাধু কর্মকর্তা ও অফিসার এর পকেটে ভাগ হয়ে যায়।

 

মসজিদ নির্মাণ কাজে আর্থিক সাহায্যের আবেদন

 

অনুসন্ধানে যানা যায় কবির হোসেন আজ থেকে ১৭/১৮ বছর আগে রবিউল প্লাজার সামনে পান বিড়ি সিগারেট বিক্রি করে সংসার চালাতো এখন সে দঃ বিশিলে ১ টা বাড়ির মালিক, আছে মুক্তবাংলা মার্কেটের সদস্য পদ যা মালিক ছারা সদস্য পদ পাওয়া সম্ভব হয় না, আছে জনতা হাউজিং এ একটি ফ্লাট, গুলশানের মত জায়গায় হোটেল ও রেস্টুরেন্ট যার অনুসন্ধান চলমান আছে।

১৭/১৮ বছর পূর্বের কবির আর বর্তমানের কবিরের অবস্থান এই ফুটপাতের অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েও ফুটপাতের চাঁদা দিয়ে আজকে কয়েক কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছে। কবির এর গ্রামের বাড়ি মির্জাগঞ্জ থানার সুবিদখালীতেও আলীশান বাড়ী তৈরী করেছে বলে যানা গেছে।কবিরের টাকা উত্তোলন এর কৌশল হলো ভিন্ন ভিন্ন লোক দিয়ে টাকা উত্তোলন করে থাকে, লাইনম্যান মুচি গৌতম, বাবু, রাজিব,,বাপ্পি সহ আরো অনেকে,তবে কবির এর প্রধান সহকারীর (পাইটু) নাম মিলন বলে জানা গেছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের যোগসাজোশ ছাড়া গণহারে বিদ্যুৎ চুরি সম্ভব না।

এছাড়াও মিরপুরের চারদিকের ফুটপাত আর রাস্তায় হাজারও দোকান। গভীর রাত পর্যন্ত আলো ঝলমলে থাকে পুরো এলাকা। তবে আলোর নিচে অন্ধকারের মতো বেশির ভাগ বিদ্যুৎ সংযোগই অবৈধ। এ ছারাও আছে ক্যাপিটেল, মার্কেট এর সামনে আকবর, যা চাঁদাবাজ আকবর নামে চেনে সকালে, প্রিন্স মার্কেট এর সামনের ফুটপাতের চাঁদা তুলেন, হাবিব শাহআলী শপিং মার্কেটের চাদা তুলেন ডেকেরেটর হান্নান, মুক্তিযোদ্ধা শপিং মার্কেটের চাঁদা তুলেন লিফ্ট সেলিম পায় ভাগিনা সেলিম, বাগদাদ শপিং মার্কেট এর চাঁদা তুলেন যুব মহিলালীগ নেতী মনির নামের সত্যতা পাওয়া গেছে যা এখন অনুসন্ধান চলছে। বিস্তারিত আগামী সংখ্যায়…