ArabicBengaliEnglishHindi

মিরপুরে অলৌকিক শক্তিতে বেপরোয়া ফুটপাতের চাঁদাবাজরা


প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ৪, ২০২২, ৯:৪৫ অপরাহ্ন / ৮৮
মিরপুরে অলৌকিক শক্তিতে বেপরোয়া ফুটপাতের চাঁদাবাজরা

এস এম জীবন ->>
চাঁদাবাজদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন রাজধানীর অন্যতম এলাকা মিরপুর-১,দারুসসালাম,শাহআলী ও চিড়িয়াখানা রোডের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে রাস্তার পাশের ফুটপাতে বসা হকারদের যেন ভোগান্তির শেষ নেই।

 

মসজিদ নির্মাণ কাজে আর্থিক সাহায্যের আবেদন

 

বাদ পড়ছেন না বিভিন্ন মার্কেটে পজিশন নিয়ে বসা হকাররাও। চাঁদাবাজদের নামে থানায় অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ অনেকে। শাহআলী থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব আমিনুল ইসলাম পিপিএম যোগদানের পর থেকে ফুটপাত দখলমুক্ত ও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষনা দিলেও নিউমার্কেট হয়ে জিমার্ট এর ফুটপাত বন্ধ হলেও বন্ধ করতে পারছেননা ঈদগাহ মাঠের কাচাবাজার ও মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট, বাগদাদ শপিং মার্কেট এর ফুটপাত। এই দখল উচ্ছেদ না করা বা উচ্ছেদ না হওয়ায় কারনে “কারো পৌষ মাস কারো সর্বমাশ” বলে মনে করেন কিছু ফুটপাত হকাররা।

অপরদিকে ঈদগাহ মাঠের পুর্ব পাশে ফুটপাত দখল করে করছে বাজার, প্রতি দোকান থেকে নেওয়া হয় ২০০/২৫০ টাকা আনুমানিক প্রতিদিন ২০০/২৫০ দোকান বসে, সেখান থেকে দিনে ৬২ থেকে ৬৫ হাজার কালেশন করেন নুর হোসেন নুরু ও লাইনম্যান ইউনুস গংরা, যা মাস শেষে এমাউন্ট দাড়ায় ১৮৭৫০০০/ টাকা। এই টাকার মাসিক আকারে ভাগ হয় স্থানীয় কাউন্সিলরের নামে টাকা গ্রহন করেন রিপন মোল্লা এবং শাহআলী থানার কিছু অসাধু কর্মকর্তা, যা নুর হোসেন নুরুর মাধ্যমে ভাগ হয়।

 

মসজিদ নির্মাণ কাজে আর্থিক সাহায্যের আবেদন

 

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ- রবিউল প্লাজার দুইপাশে ফুটপাতের উপরে বসা হকারদের কাছে স্থায়ী দোকানের অগ্রীম এডভান্স ৮ /১০ লক্ষ.ও প্রতিদিন ১১ শত টাকা। ভুক্তভোগীরা বলেন, টাকা দিয়ে ব্যাবসা করতে পারিনা আমরা কিন্তু তারা কিভাবে ফুটপাতে বসে ব্যবসা করতে পারে! প্রশ্ন রেখে বলেন আমরা কি এদেশের মানুষ না, তাহলে আমরা যাবো কোথায়? একই দৃশ্য দারুসসালাম থানা এলাকার ক্যাপিটেল মার্কেট,মুক্তিযোদ্ধা হক মার্কেট কো-অপারেটিভ মার্কেট হয়ে ফুটপাতের টাকা চাঁদাবাজ রহিম দারুসসালাম থানা পুলিশকে দিতে দেখা যায় সাম্প্রতিক করেকটি ছবি প্রতিবেদক এর হাতে পৌছছে।এতো কড়া নির্দেশনার পরও কিভাবে চলছে ফুটপাত? উত্তরে একটি উত্তর আসে বার বার দারুসসালাম ও শাহআলী থানার কর্মকর্তাদের ও পিআইকে মেনেজ ছাড়া ফুটপাতে ব্যাবসা করা আসলেই সম্ভব না।

এই বিষয়ে দারুসসালাম জোনের পিআই হারুন এর সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও ফোন রিসিভ করেননি।অনুসন্ধানে যানা যায় শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহাদাৎ বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড বলে দাবি করা মনিরের নেতৃত্বে ডজন খানেক সদস্য এলাকার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে।ক্যাপিটেল, মুক্তিযোদ্ধা হক প্লাজা ও কো-অপোরাটিভ মার্কেট এর চাদা তুলেন চাদাবাজ আকবর, রহিম ও হিরু।শমশের মার্কেট ও সিটি কর্পোরেশন মার্কেট এর টাকা তুলেন ডেকেরেটর হান্নান, মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট এর চাদা তুলেন লিফট সেলিম ও ভাগিনা সেলিম, বাগদাদ মার্কেট এর টাকা যায় যুব মহিলা লীগ নেতৃ পরিচয়ে দানকারী মনি’র কাছে।

এলাকার নেতা ও তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা মাস্তানদের চাঁদা এবং পুলিশকে মাসোয়ারা দিয়েই ফুটপাতে বসতে হচ্ছে হকারদের। ওই চাঁদাবাজদের চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা নির্যাতন চালায় ভুক্তভোগীদের ওপরে। ভুক্তভোগীরা আরও অভিযোগ করে বলেন, সম্প্রতি কিছু উঠতি মাস্তানদের দৌরাত্ম্য এতটাই বেড়েছে যে ব্যবসা করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। মাস্তানরা ২৫-৩০ জন কিশোরকে দলে ভিড়িয়ে একটি গ্রুপ তৈরি করেছে।

এরাই জড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডে। আরো বিস্তারিত আগামী সংখ্যায়…