ArabicBengaliEnglishHindi

মিরপুরে প্রশাসনের নাকের ডগায় হোটেল আল মামুনে রমরমা মাদক ও নারী ব্যবসা


প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ২, ২০২২, ১২:১৭ পূর্বাহ্ন / ৫৬৭
মিরপুরে প্রশাসনের নাকের ডগায় হোটেল আল মামুনে রমরমা মাদক ও নারী ব্যবসা

এস এম জীবন ->>

মিরপুরের আবাসিক হোটেলগুলোতে প্রকাশ্যেই চলছে দেহ ব্যবসা, বাগদাদ শপিং মলের ১০ম তলায় হোটেল আল মামুন, নিয়ম নীতির কোন বালাই নেই সেখানে, ২৪ ঘন্টার যেকোনো সময় সেখানে ব্যক্তিগত কোনো তথ্য ছাড়াই বুক দেয়া যায় রুম,সুবিধা মতো যে কোন বয়সের মেয়েদের সরবরাহ করে থাকেন হোটেল স্টাফরাই।

যেকোনো বয়সী স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া মেয়েদের কালেকশন রয়েছে তাদের,পাওয়া যায় বিভিন্ন মডেল তারকাদেরও। চাহিদা মোতাবেক বিল করা খদ্দের তালিকায় থাকা বড়লোকের বিগড়ে যাওয়া সন্তানসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের কাছ থেকে।

সন্ধ্যা ঘনিয়ে রাত নামলেই হোটেলের বিভিন্ন ব্লগে বসে মাদকের আড্ডা,অপরদিকে একই ভবনের ১১ তলায় রয়েছে মদের বার,সেখান থেকেই মদ সাপ্লাই এবং হোটেল স্টাফদের সিন্ডিকেটের মাধ্যমেই মরণ নেশা ইয়াবা সরবরাহ করা হয়ে থাকে। রাতভর মদ, ইয়াবা, গাঁজা সেবন ও নারীসঙ্গ দিয়েই রঙ্গলীলায় মেতে থাকে আবাসিক হোটেল গুলি।

ব্যাঙের ছাতার মতোই একের পর এক গজিয়ে উঠছে একের পর এক আবাসিক হোটেল, এর ভিতরে উল্লেখযোগ্য আল মামুন,দি-লন্ডন প্যালেস ও হোটেল হোয়াইট ব্রিজ সহ আরও ৭/৮ টি আবাসিক হোটেল। তাদের মূল হোতা হিসেবে উল্লেখযোগ্য ভূমিকায় রয়েছে হোটেল আল মামুনের মালিক মামুন ও হোটেল হোয়াইট ব্রিজ ও লন্ডন প্যালেসের মালিক মারুফ।

বিগত এক বছরে করোনাকালীন সময়ে গুলশান ও বনানীর বিভিন্ন স্পা সেন্টারগুলো প্রশাসনিক চাপে অধিকাংশই বন্ধ হয়ে গেছে, স্পার সমস্ত মালিকদের সাথে মামুনের রয়েছে দৃঢ় সখ্যতা,আর এই সুসম্পর্ককে পুঁজি করে মুঠোফোনের মাধ্যমে খদ্দের সংগ্রহ করে থাকেন মামুন। অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকা ইনকামের মধ্য দিয়ে কয়েকদিন পরপরই বিদেশে পাড়ি জমান তিনি, কিছুদিনের মধ্যেই মিরপুর ১২ পল্লবীতে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে মামুনের আরও একটি বিলাসবহুল আবাসিক হোটেল।

গুঞ্জন রয়েছে শুধুমাত্র ডেকরেশনেই ব্যয় করা হয়েছে ৫ কোটি টাকা, মনোরঞ্জনের সব ধরনের ব্যবস্থাই থাকছে সেখানে, এদিকে বাগদাদ শপিং সেন্টারের পাশে রয়েছে মিরপুরের ঐতিহ্যবাহী বেঙ্গলি হাই স্কুল ও আন-নূরী জামে মসজিদ, স্কুল ও মসজিদের পাশেই কিভাবে মদের বার এবং ওপেন দেহ ব্যবসা পরিচালনা হয় এ নিয়ে নানামুখী প্রশ্ন ও উদ্বেগ উৎকণ্ঠা সৃষ্টি হয়েছে জনসাধারণের মধ্যে।

পরিস্থিতি সামাল দেয়া না হলে খুব অল্প বয়সে স্কুল ও কলেজে পড়া ছাত্ররা এবং বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ ও যুব সমাজ ধীরে ধীরে ধ্বংসের পথে পা বাড়াচ্ছে বলেই আশঙ্কা করেছেন এলাকার জনসাধারণ। চলমান পরিস্থিতিতে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে সাধারণ মানুষের মনে।