ArabicBengaliEnglishHindi

রাঙ্গামাটিতে পাহাড়ধসের আশঙ্কা, ঝুঁকিতে ১৫ হাজার মানুষ


প্রকাশের সময় : জুন ১৯, ২০২২, ১২:০৭ অপরাহ্ন / ১৯২
রাঙ্গামাটিতে পাহাড়ধসের আশঙ্কা, ঝুঁকিতে ১৫ হাজার মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক (রাঙ্গামাটি) ->>
টানা বৃষ্টিতে রাঙ্গামাটির বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় ধসের শঙ্কায় রয়েছেন স্থানীয়রা। এতে করে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসরতদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, জেলায় ঝুঁকি নিয়ে পাহাড়ে বসবাস করছে চার হাজার পরিবারের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ। ঝুঁকিতে এসব বসবাসকারী মানুষের জন্য খোলা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র। শহরের ৯ ওয়ার্ডে ২০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে মাইকিং করে সচেতন করা হচ্ছে।

ঝুঁকিপূর্ণ মনে হলে আশ্রয়কেন্দ্র চলে যেতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, ভারী বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে তিনদিন চট্টগ্রাম বিভাগে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। যেহেতু আমাদের রাঙ্গামাটি পাহাড় ধসের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ সেহেতু যারা ঝুঁকিতে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করছেন তাদের সতর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি। তিনি আরও বলেন, পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিতে বসবাসরত লোকজনদের জন্য ২০টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আমরা সবাইকে মাইকিং করে সর্তক করছি। আমাদের জেলা প্রশাসনের টীম এবং বিভিন্ন সরকারি দপ্তর ও স্বেচ্ছাসেবি সংগঠনের টীম মাঠে কাজ করছে।

পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারী মানুষকে সতর্ক থাকার জন্য নির্দেশও জারি করে রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসন। গত শুক্রবার সারাদিন টানা বর্ষণের কারণে এ নির্দেশনা জারি করে জেলা প্রশাসন। গত শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. সাইফুল ইসলাম রাঙ্গামাটি শহরের শিমুলতলী, রূপনগর, লোকনাথ মন্দির, ভেদভেদি মুসলিম পাড়ায় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরত লোকজনদের মাইকিং করে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে আহ্বান জানান। অন্যদিকে জেলা প্রশাসনের ফেসবুক পেজে স্ট্যাটাস দিয়ে সতর্কতার নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

স্ট্যাটাসে বলা হয়েছে, রাঙ্গামাটিতে অব্যাহত বর্ষণ হচ্ছে এবং আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে আগামী তিনদিন চট্টগ্রাম বিভাগে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। যেহেতু আমাদের রাঙ্গামাটি পাহাড়ধসের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ সেহেতু যারা ঝুঁকিতে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করছেন তাদের সতর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি। এই পরিস্থিতিতে নিরাপদ আশ্রয়ে অবস্থান করা শ্রেয়। মাত্র ৫ বছর আগে ২০১৭ সালের মর্মান্তিক পাহাড়ধস এবং জানমালের ক্ষয়ক্ষতি যেন আমরা ভুলে না যাই। সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। জেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস, স্বেচ্ছাসেবক, পৌরসভার কাউন্সিলরগণ ইতোমধ্যে বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পরিদর্শন করেছেন।

আশ্রয়কেন্দ্রগুলো খোলা রাখার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। প্রতিটি জীবন অমূল্য। কাপ্তাই, কাউখালি, নানিয়ারচর উপজেলাসহ অন্যান্য সকল উপজেলায় অনুরূপ সতর্কতা গ্রহণ করতে হবে।

এদিকে পাহড়ের পাদদেশে বসবাসরতদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে রাঙ্গামাটি শহরের ৯ ওয়ার্ডে ২০টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়। রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, টানা বর্ষণের কারণে পাহাড়ধসের ঝুঁকি রয়েছে। লোকজনদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার জন্য ২০টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আমরা সবাইকে মাইকিং করে সর্তক করছি।

তিনি আরও জানান, আমরা ২০১৭ সালের পাহাড়ধসের ভয়াবহতা মাথায় রেখে সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। আমাদের দূযোর্গ মোকাবেলায় সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে। ২০১৭ সালে রাঙ্গামাটিতে টানা বর্ষা হয়। এতে পাহাড়ধসে১২০ জন নিহত হন।