মোহনপুর (রাজশাহী) প্রতিনিধি ->>
বাংলাদেশের ঋতু পরিক্রমায় মধুমাস জ্যৈষ্ঠ আসতে এখনো কয়েক দিন বাকি। কিন্তু এর আগেই রাজশাহীর বাজারে হাজির হয়েছে অতিথি ফল লিচু।
৮ মে রবিবার রাজশাহীর সাহেববাজারে দেশি আগাম জাতের লিচু বিক্রি করতে দেখা গেছে। অসময়ে হলেও বাড়তি লাভের আশায় আগেই বাজারে নিয়ে আসা হয়েছে এই লিচু।
মৌসুমের লিচু মিষ্টি ও রসালো হলেও এখনকার লিচু টক-মিষ্টি স্বাদের। এরপরও দাম বেজায় চড়া।
দেশি জাতের ছোট আকৃতির ১০০টি লিচুর দাম ৪০০ টাকা।
এছাড়া শরীরে একটু কালো দাগ পড়া লিচু বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৩৮০ টাকা দরে।
ফলে সাধ্যের বাইরে হওয়ায় সাধ থাকলেও আগাম লিচু কিনতে পারছেন না অনেকেই।
ভরা মৌসুমে রাজশাহী মহানগরীর সাহেববাজার, বিন্দুরমোড়, লক্ষ্মীপুর, স্টেশন ও শালবাগান বাজার ছাড়াও শিরোইল বাস টার্মিনাল সংলগ্ন বিভিন্ন সড়কের দুই পাশে বাহারি এ ফলের পসরা সাজিয়ে বসেন ব্যবসায়ীরা। আজ দেখা গেছে কেবল সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে কয়েকটি দোকানে কিছু লিচু রয়েছে। এই লিচু বছরের প্রথম ফল হিসেবে শখ করে বেশি দাম দিয়েই কিনছেন কেউ কেউ।
রাজশাহী মহানগরীর দরগাপাড়া এলাকার নাসিব আহমেদ জানান, তার ছয় বছরের মেয়ে ঝর্ণা লিচু খেতে খুব ভালোবাসে। বাজারে লিচু উঠলেই তার বায়না থাকে কেনার জন্য। যে কারণে আজ দুপুরে তিনি সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট থেকে লিচু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু দাম বেশি থাকায় ১০০টি লিচু কেনার ইচ্ছা থাকলেও শেষ পর্যন্ত ৫০টি লিচু কিনেই বাড়ি ফিরছেন। তবে স্বাদ ও আকারে এখনো লিচু পরিপক্ক হয়নি। কেবলমাত্র বাড়তি মুনাফার আশায় ব্যবসায়ীরা গাছ থেকে লিচু ভাঙছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আর লিচু ব্যবসায়ী হান্নান হোসেন জানান, লিচুকে অতিথি ফল বলা হয়। কারণ এই ফল বাজারে মাত্র এক থেকে দেড় মাসে থাকে। এখন বাজারে লিচু ওঠেনি। এ কারণে লিচুর দাম বেশি। দুই সপ্তাহ পর লিচুর ভরা মৌসুম শুরু হবে। তখন প্রচুর পরিমাণে লিচু বাজারে আসবে। বাজারে দিনাজপুর ও রাজশাহীর লিচু এলেই দাম সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে চলে আসবে। তখন সবাই লিচুর স্বাদ নিতে পারবেন।
আপনার মতামত লিখুন :