ArabicBengaliEnglishHindi

রাবি শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা প্রনয়ণ প্রসঙ্গে


প্রকাশের সময় : জুলাই ১৬, ২০২২, ৮:২৩ অপরাহ্ন / ১৯২
রাবি শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা প্রনয়ণ প্রসঙ্গে

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য প্রায় ১০ মাসের অধিক সময় আগে যোগদান করলেও, অদ্যাবধি অন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিশেষত অন্য ৩টি ‘৭৩ অধ্যাদেশ অনুসরণকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের) আদলে শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা প্রনয়ণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে চাই না, সাবেক উপাচার্য আবদুস সোবহান এর ২০১৭ সালে প্রনয়ণকৃত শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালার আদলে মেরিট পজিশন বাদ রেখে শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা প্রনয়ণ হোক।

উল্লেখ্য সাবেক উপাচার্য আবদুস সোবহান পূর্বের শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা ২০১৭ সালে শিথিল করে মেয়েজামাতার নিয়োগ দিয়েছিলেন। তার (আব্দুস সোবহান) মেয়েজামাতার কোন একাডেমিক পজিশন ছিলো না। সেই নিয়োগে অনেক ভালো ছাত্র বাদ পড়ে। সাবেক উপাচার্য আবদুস সোবহানের মেয়ে ২১তম এবং জামাতা ৬৭তম মেধাক্রম নিয়ে প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ পান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে।

শিক্ষক নিয়াগে মেধার চেয়ে অন্য কিছু গুরুত্ব পেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্ব র‍্যাংকিং এ আরও পিছিয়ে পড়বে। শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালায় মেধাক্রম গুরুত্ব না পেলে, বেশ কিছু শিক্ষক তাদের সন্তানদের শিক্ষক বানানোর জন্য তল্পিবাহক হয়ে যান।

কেউ যদি বলে, বিভাগের শিক্ষকেরা বেশী নম্বর দিয়ে তাদের পছন্দের শিক্ষার্থীদের মেধা তালিকায় আনবে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে – বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগে অনেক শিক্ষকের মূল্যায়নের ফসল শিক্ষার্থীদের রেজাল্ট। সেকারণে এ ধরনের খোরা যুক্তি দিয়ে মেধাবী ও কম মেধাবীদের সমান সূযোগ দেওয়াটা প্রত্যাশিত নয়।

ড. মু. আলী আসগর
প্রফেসর
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

 

 

সোস্যালমিডিয়া বিভাগের আরো খবর

আরও খবর