ArabicBengaliEnglishHindi

লালমনিরহাটের দ্বিতীয় তিস্তা সড়ক সেতু যেন মরন ফাঁদ


প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ২৬, ২০২২, ২:৩২ অপরাহ্ন / ৪৪৯
লালমনিরহাটের দ্বিতীয় তিস্তা সড়ক সেতু যেন মরন ফাঁদ

লালমনিরহাট প্রতিনিধি ->>

লালমনিরহাটের দ্বিতীয় তিস্তা সড়ক সেতু এখন মরন ফাঁদে পরিনত হয়েছে।রাস্তা দেখলে বুঝা যায় না যে,এটি স্বপ্নের দ্বিতীয় তিস্তা সেতুর যোগাযোগের প্রধান সড়ক।

আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম ৪টি উপজেলার কয়েক লক্ষ মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা দ্বিতীয় তিস্তা সেতুর সড়ক এখন জনগণের মরন ফাঁদে পরিণত হয়েছে।

জানা যায়, ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে হঠাৎ করে ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পানির কারনে তিস্তা নদীতে পানিও বেড়ে যায়। সেই পানির প্রবল স্রোতে লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের রুদ্রেশ্বর গ্রামের বাড়াই পাড়া এলাকায় কাকিনা-রংপুর সড়কটির প্রায় ৩শত মিটার রাস্তা ধ্বসে যায়।

সেই ধ্বসে যাওয়া অংশে দিন, দিন তৈরি হয়েছে মরন ফাঁদ। প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট,বড় দুর্ঘটনা। যেনো দেখেও দেখার কেউ নেই এমনি অবস্থা।
লালমনিরহাটের আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলার মানুষের রংপুর শহরে যোগাযোগ করার জন্য সহজ রাস্তাটি যেন এখন জীবন মরণের সীমানা হয়ে গেছে। সেই সাথে এই এলাকার জরুরী রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সগুলোকে কোনো না কোনো বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। তাই সকলের দাবি দ্রুত সড়কটি মেরামত করা হোক।

ওই এলাকার রাবেয়া বেগম জানান, হামরা সাগাই বাড়ি বেড়াতে গেছিনো সেটে থাকি খবর পাইনো হামার বাড়ির সাথে রাস্তা হুরমুর করি ভাঙ্গি য্যায়া হামার নৌকা ডুবি গেছে
তারপর থাকি মানুষগুলাোর চলাচলের খুব কষ্ট হইছে, মন্ত্রীও তো এই রাস্তা দিয়া যায়, কেমবা ঠিকই করেনা।

একই এলাকার নাটু মিয়া(৪৫) জানায়, যখন মানুষ এখান দিয়া চলাচল করে তখন বুকখান ধুরফুর করে, কখন বা কি হয়। কি আর কই হামরা, এতোদিন থাকি এমন হয়া আছে কোনমতে মানুষ গাও খ্যাশি চলাচল করে তাও ত ঠিক করে না।

তাদের মতো আরও অনেকে একই রকম প্রতিক্রিয়া জানান।স্বপ্নের দ্বিতীয় তিস্তা সেতু নির্মাণ ও রাস্তার কাজ অপরিকল্পিত ব্যবস্থাপনার কারণে এ রকম ঝুঁকির মুখোমুখি হতে হচ্ছে বারবার। কেননা এর আগেও পানির স্রোতের কারনে এই সড়কপথে এক জায়গায় ছেড়ে গেছিল। মূলত যখন এসব কাজ হয়েছে তখন কর্তৃপক্ষ দূর্নীতি করেছিল তার খেসারত এখন দিতে হচ্ছে।

এবিষয়ে, লালমনিরহাট এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফ আলী খান বলেন, সড়কটি মেরামতের জন্য দুটি প্রাক্কলন রক্ষণাবেক্ষণ ইউনিটে পাঠানো হয়েছে প্রাক্কলন অনুমোদন হলে লালমনিরহাট থেকে রংপুরগামী সড়কটির টেন্ডার আহ্বান করে দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ করা হবে।