ArabicBengaliEnglishHindi

শামসুদ্দিন ভাত না খেয়ে বেচে আছেন ৪৮ বছর


প্রকাশের সময় : অগাস্ট ১৯, ২০২২, ৬:৪৯ অপরাহ্ন / ৫৯
শামসুদ্দিন ভাত না খেয়ে বেচে আছেন ৪৮ বছর

কালিয়াকৈর(গাজীপুর)প্রতিনিধি ->>
কথায় আছে মাছে ভাতে বাঙালি, কিন্তু এর ব্যতিক্রম ঘটেছে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার আটাবহ ইউনিয়ন এর চাতৈলভিটি গ্রামের শামসুদ্দিনের ক্ষেত্রে তিনি ৪৮ বছর যাবত ভাতের পরিবর্তে শুধু রুটি খেয়ে বেঁচে আছেন।

 

মসজিদ নির্মাণ কাজে আর্থিক সাহায্যের আবেদন

 

এলাকাবাসী ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার আটাবহ ইউনিয়নের চাতৈল ভিটি গ্রামে শামসুদ্দিনের জন্ম। আট ভাইবোনের মধ্যে শামসুদ্দিন তৃতীয়। তিনি কালিয়াকৈর বাজারে মাইকের ব্যবসা করতেন। ১৯৭৪ সাল থেকে তিনি রুটি খেয়ে বেঁচে আছেন। ১৯৭৪ সালে হঠাৎ পেটে ব্যথা হলে তিনি ডাক্তারের শরণাপন্ন হন। তখন চিকিৎসা করেও কোনো উন্নতি না হলে তার পাশের এক দোকানদার তাকে ভাতের পরিবর্তে রুটি খেয়ে দেখতে বলে।

তখন তিনি রুটি খেয়ে দেখেন যে তার পেট ব্যথা আগের চেয়ে অনেক কম। তারপর থেকে প্রায় ৪৮ বছর ধরে তিনি ভাতের পরিবর্তে রুটি খেয়ে বেঁচে আছেন।১৯৮৮সালে বন্যার সময় আটা না পাওয়ার কারণে চাল বেটে জাও রান্না করে খেয়েছে। জাও খাওয়ার পর আবার তার পেটে ব্যথা শুরু হয়। তখন সাত দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিল।

তারপর থেকে আর চাউলের কিছুই খায়না।তবে রুটির সাথে মাছ মাংস ডিম সবজি খেতে পারে তখন কোন সমস্যা হয় না।কোন আত্মীয়ের বাড়িতে দাওয়াত দিলে আগে থেকেই বলে দেয় তার জন্য যেন রুটি তৈরি করে রাখে।

শামসুদ্দিন জানান,যতবারই ভাত খাওয়ার চেষ্টা করেছি ততোবারই পেটে ব্যথা হয় তাই এখন আর ভাত খাওয়ার চেষ্টাও করিনা। রুটি খেলেই আমার ভালো লাগে।

শামসুদ্দিনের স্ত্রী জোসনা বেগম বলেন,আমার স্বামী ভাতের পরিবর্তে রুটি খেয়ে বেচে আছেন ৪৮ বছর।আগে আমার কাছে বিরক্ত লাগতো রুটি বানাতে এখন অভ্যাস হয়ে গেছে। আমাকে প্রতি বেলা খাবার আগে আমার স্বামীর জন্য রুটি বানানো লাগে।

আটাবহ ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার আনোয়ার হোসেন বলেন, শামসুদ্দিন সম্পর্কে আমার বড় ভাই লাগে। আমার জানা মতে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে তিনি আর ভাত খান না।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লিভার বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ সাইদুল হক বলেন,তিনি রুটিতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে।এটা অনেক দিন ধরে তার অভ্যাসটা তৈরি হয়েছে। অভ্যাসটা তৈরি হওয়াতে ওনার ষ্টোমাকে একটা আবহাওয়া তৈরি হয়েছে যে এটাকেই খুব সহজে সে সহজ পাত্র হিসাবে গ্রহন করতে পারে।

কিন্তু হঠাৎ করে যখন সে চেঞ্জ করে বা অন্য খাবার খায় তখন সে এটা নিতে পারেনা। কারন সে এটাতে অভ্যস্ত না তার হজম করার যে উপাদান গুলো আছে সেগুলো ঠিক মত কাজ করে না কেননা এটা তার বহু দিনের অভ্যাস।