ArabicBengaliEnglishHindi

সরকার পতনের আন্দোলনে এখনি যাচ্ছে না বিএনপি


প্রকাশের সময় : অগাস্ট ৬, ২০২২, ৮:৫৫ অপরাহ্ন / ৫৩
সরকার পতনের আন্দোলনে এখনি যাচ্ছে না বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক ->>
আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটানো হবে বলে দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগকে হুমকি দিয়ে আসছে বিএনপি। লক্ষ্য সামনে রেখে প্রস্তুতিও নিচ্ছে দলটি। হচ্ছে পরিকল্পনা। অঙ্গ ও সহযোগী দলগুলোকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। ত্যাগী ও আন্দোলন সংগ্রামের উপযোগী নেতৃত্ব বাছাই করে দেয়া হচ্ছে দায়িত্ব। সভা সমাবেশ থেকে মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের কঠোর বার্তা দিচ্ছে নীতিনির্ধারকেরা। তৃণমূল থেকেও আন্দোলনের কর্মসূচি দিতে হাইকমান্ডের উপর চাপ আসছে।

 

 

তবে এখনই জোরালো আন্দোলনে যাবে না রাজপথের প্রধান বিরোধী দল। চূড়ান্ত আন্দোলনের জন্য আরো সময় নিতে চায়। এখন ইস্যুভিত্তিক নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচি, দল গোছানো আর বৃহত্তর ঐক্যেই গুরুত্ব দিচ্ছে।

একাদশ জাতীয় নির্বাচনের বাকি রয়েছে প্রায় দেড় বছর। এত আগে মাঠে নামলে ফলাফল অনুকূলে আসবে না বলে মনে করছে বিএনপি। অতীতে আন্দোলনের ফল না পাওয়ার তিক্ত অভিজ্ঞাতা রয়েছে তাদের। এবার প্রতিটি পদক্ষেপই সতর্কতার সঙ্গে নিচ্ছে। নির্বাচনের আগে নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের দাবি নিয়ে মাঠে নামতে চায় দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা দলটি।

বিএনপির একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানান, আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে পরিকল্পনা আঁটছে দলটি। কার্যকারী আন্দোলনের কথা ভাবছে। এখন আন্দোলনের যেয়ে শক্তি ক্ষয় করতে চায় না। এখন আন্দোলনে গেলে নেতাকর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, হামলায় আহত হবে, মামলায় নাজেহাল হবে। সরকার নানাভাবে উস্কানি দিয়ে মাঠে নামাতে চান আমাদের। কিন্তু এবার সরকারের ফাঁদে পা দিবে না বিএনপি।

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, সরকার আমাদের অপরিকল্পিত ও অ্যাডভান্স আন্দোলনে নিয়ে যেতে চায়। দমন-নিপীড়ন করতে চায়। গত ১২ বছরে সরকার তা বারবার প্রমাণ করেছে। একটা ইস্যুকে সামনে নিয়ে এসে, উস্কানি দিয়ে আমাদের নেতাকর্মী হত্যা-নির্যাতন-দমন করেছে। এ ব্যাপারে আমরা সর্তক আছি। আমরা পরিকল্পনা করেই আন্দোলন করতে চাই।

 

মসজিদ নির্মাণ কাজে আর্থিক সাহায্যের আবেদন

 

লোডশেডিং ও জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে ডাকা বিএনপির সমাবেশে পুলিশের হামলার পর জরুরি বৈঠকে বসে বিএনপির হাইকমান্ড। এ ঘটনা নিয়ে বিস্তার আলোচনা হয়। বিএনপিকে এখনই রাজপথে নামানোর আওয়ামী লীগের অপকৌশল হিসাবে দেখছে এ হামলা। তাই ভেবেচিন্তে কর্মসূচি ঠিক করছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের শান্ত থাকতে বলা হয়েছে। এ কারণে ভোলার দিনব্যাপী হরতাল ডাকার পর অর্ধ বেলা হরতাল পালন করে প্রত্যাহার করে জেলা বিএনপি। হাইকমান্ডের কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করছে তৃনমূল। দুই সহযোদ্ধার মৃত্যুর পর নিয়মতান্ত্রিক প্রতিবাদ করছে। কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তৃতীয় পক্ষের কেউ যাতে ঘটাতে না পারে সে ব্যাপারেও সতর্ক রয়েছে।

এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, এই মুহূর্তে আমরা বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার কাজ করছি। যারা নির্বাচন প্রশ্নে আমাদের দাবির সাথে এক মত রয়েছে। রাজপথে আন্দোলন করছে- তাদের সকলকে সম্পৃক্ত করে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার কাজ করছি। সে প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে আছে। শেষ হলে আমরা চূড়ান্ত আন্দোলনে যাবো। চূড়ান্ত আন্দোলের আগে সরকারকে পদত্যাগ করার জন্য আল্টিমেটাম দেবো। নিরপেক্ষ সরকারে অধীনে নির্বাচন দিতে বলবো। সরকার যদি দাবি উপেক্ষা করে ২০১৪ বা ১৮’র মত নির্বাচন করতে যায় তখন আমরা আমাদের শক্তি দেখাবো।

বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, সরকার বিএনপি আন্দোলনের সময় ও ধরণ নির্ধারণ করে দিতে চাইলে ভুল করবে। বিএনপি কবে আন্দোলন করবে, কীভাবে করবে, কোন ধরণের আন্দোলন দিয়ে শুরু করবে তা একেবারে বিএনপির নিজস্ব সিদ্ধান্ত। আমরা আন্দোলনের মধ্যে আছি। শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছি। আমাদের প্রতিবাদ জারি রেখেছি।

 

মসজিদ নির্মাণ কাজে আর্থিক সাহায্যের আবেদন

 

তিনি বলেন, সরকার ২০১৪ -১৫ সালের জ্বালাও-পোড়াও করে বিএনপির ঘাড়ে দোষ চাপিয়েছে। তারা নাশকতা করে বিএনপির নাম দিয়েছে। এবার এ ধরণের নীল নকশা যদি সরকার করে থাকে তাহলে সফল হবে না।

সময় হলে বিএনপি চূড়ান্ত আন্দোলন করা হবে বলেও জানান তিনি।

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার প্রথম থেকেই গায়ের জোরে আছে। আগামীতেও থাকার চেষ্টা করবে। তাদের তো এটাই চরিত্র। আমারা নিয়মতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মধ্যেই আছি। আগামীতেও থাকবো। সময় হলে চূড়ান্ত আন্দোলনের কর্মসূচি আসবে। এখন কিছু বলা যাচ্ছে না।