ArabicBengaliEnglishHindi

সিএনজি, অটোরিকশা নৈরাজ্য, ভোগান্তি যাত্রীরা


প্রকাশের সময় : জুন ২৯, ২০২২, ৫:২৪ অপরাহ্ন / ৮২
সিএনজি, অটোরিকশা নৈরাজ্য, ভোগান্তি যাত্রীরা

আনোয়ারা প্রতিনিধি ->>

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার শিল্পজোন হিসেবে পরিচিত। অর্থনীতির সমৃদ্ধিকে ঘেরে আছে, কেইপিজেড, চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড (সিইউএফএল), কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার লিমিটেড, ইউনাইটেড বিদ্যুৎকেন্দ্র, ডাই অ্যামোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) সার কারখানা, গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড (জিটিসিএল), চায়না ইকোনমিক জুন, কর্ণফুলী টানেলের শ্রমিক-কর্মচারী, নন্দিত পারকি সমুদ্র সৈকত ঘিরে বাড়ে মানুষের চলাচল।

উপজেলা মানুষের চলাচল কেন্দ্র করে, কিছু অসাধু সিএনজি (অটোরিকশা) চালকরা নৈরাজ্য সৃষ্টি করছেন। নিজেরাই ইচ্ছে মতো বাড়তি গাড়ি ভাড়া আদায় করতেছে।প্রায় সব জায়গা দ্বিগুণের বেশি ভাড়া নিচ্ছে ভুক্তভোগী যাত্রীরা হয়রানি শিকারসহ জিম্মি সিএনজি (অটোরিকশা) চালকদের হাতে।প্রশাসন কোন উদ্যােগ নিচ্ছেনা বলে দাবি করতে সচেতন মহলের।

ভুক্তভোগী যাত্রী আফনান জানান, আনোয়ারা উপজেলা অর্থনীতি চাকা সচল হাওয়া কারণে বিভিন্ন জেলা, উপজেলা থেকে জনসাধারণ জীবিকার নির্বাহ করার জন্য উপজেলা ওপর নির্ভরশীল। প্রতিদিন সকাল, সন্ধ্যা এবং রাতে লক্ষ দিক মানুষ যাতায়াত নির্ভরশীল হচ্ছে। এই সুযোগে কিছু সিএনজি (অটোরিকশা) চালক নিজের ইচ্ছে মতো গাড়ি ভাড়া আদায় করতেছে। বাড়তি ভাড়া নিয়ে যাত্রীদের সাথে নির্ধারিত ভাড়া নিয়ে কথা-কাটাকাটি সংঘর্ষ লেগে থাকে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রের জানা যায়, অধিকাংশ লাইসেন্স বিহীন সিএনজি (অটোরিকশা) ড্রাইভার আছে। যাদের কোন প্রকার ড্রাইভার লাইসেন্স নেই। নেই যানবাহন চালানোর অভিজ্ঞতা। এমন অদক্ষ ড্রাইভার বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালনার কারণে সড়কের প্রতি নিয়ত ঘটাচ্ছে দূর্ঘটনা। যাত্রীদের সাথে অশীলতা ব্যবহার করে নিচ্ছে বাড়তি ভাড়া।

সরেজমিনে পরিদর্শন করা যায়,সকালে কারখানা শ্রমিকরা সকাল এবং সন্ধ্যা কারখানা থেকে আসা-যাওয়া সময় সিএনজি (অটোরিকশা) বাড়তি ভাড়া আদায়ের দাপট। চাতরী চৌমুহনী বাজার থেকে বন্দর সেন্টার গাড়ি ১০ টাকা, সেন্টার থেকে ঘাটঘর ১০ টাকা। সন্ধ্যা হলে গাড়ি ১০ টাকা জায়গা ২০ টাকা, সেন্টার থেকে বটতলী বাজার ১০ টাকা। সকাল, সন্ধ্যা এবং বন্ধ দিন গুলো ২০ – ৩০ টাকা আদায় করে।চৌমুহনী বাজার থেকে ক্রসিং, মইজ্যারটেক বাড়া ২০ টাকা, সুযোগ বুঝে অসাধু ড্রাইভার নিচ্ছে ৩০- ৪০ টাকা।চৌমুহনী বাজার থেকে জয়কালী হাট ১০ টাকা সন্ধ্যা হলে ২০ টাকা। চৌমুহনী বাজার থেকে সরকার হাট ১০ টাকা হলে গাড়ি চালকরা নিচ্ছে ২৫ টাকা।সেন্টার থেকে আনার আলী শিকদার হাট পূর্ব ভাড়া ২৫ টাকা, বর্তমানের ৩৫ -৪০ টাকা।যাত্রীরা বাড়তি ভাড়া দিতে না চাইলে অশীলতা কথা শিকার হয় যাত্রীরা।

নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক এক সিএনজি (অটোরিকশা) ড্রাইভার জানান, কিছু ড্রাইভার বাড়তি বাড়া নিচ্ছে। তবে আমরা কি করবো।আমরা ট্রাফিক পুলিশের হয়রানি শিকার হচ্ছি।প্রতিটি সিএনজি থেকে মাসিক চুক্তি বৃত্তিতে টাকা দিতে হচ্ছে। আগে ট্রাফিক পুলিশের টোকেন দেখলে গাড়ি ছেড়ে দিত।এখন টোকেন বাণিজ্য দিন শেষ। নিধারিত খাতা গাড়ি এবং নাম্বার লেখা থাকে। এই নিয়ম মেনে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে সিএনজি (অটোরিকশা) চালকরা।

আনোয়ারা ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ (টিআই) মোঃ হাফিজুর রহমান বলেন, সিএনজি (অটোরিকশা) বাড়তি ভাড়া ব্যাপারে কেউ কোন অভিযোগ করেনি।এমন অভিযোগ ফেলে ড্রাইভারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানান তিনি।