ArabicBengaliEnglishHindi

সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কঠোর নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে


প্রকাশের সময় : নভেম্বর ২১, ২০২২, ১২:৫৮ অপরাহ্ন / ৩৪৭
সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কঠোর নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে

সিলেট প্রতিনিধি ->>

সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কঠোর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সম্প্রতি কিছু দিন পূর্বে থেকে জানা যায়, বিমানবন্দরে নিরাপত্তার ঘাটতি আছে। ঘাটতি পূরণে আরও কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলতে হবে। এ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।

এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় ও বেবিচকের কর্মকর্তারা কয়েক দফায় বৈঠকও করেছেন। বিমানবন্দরে পাখি, বাদুড়, বেজি ও শেয়ালের উৎপাত বেড়ে যাওয়ায় চিন্তায় পড়েছে কর্তৃপক্ষ। কোনো বিমানবন্দরেই পাখি মারার অস্ত্রস নেই। এজন্য শতাধিক আগ্নেয়াস্ত্র কেনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান বলেন, ‘সব বিমানবন্দরে কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সুপারিশ কার্যকর করা হচ্ছে।
শাহজালালসহ সব বিমানবন্দরে নিরাপত্তার ফাঁক আছে; তা পূরণ করা হচ্ছে। নিরাপত্তার জন্য যা যা করা দরকার সবই করা হচ্ছে। আরও নিরাপত্তা-সরঞ্জাম আনা হচ্ছে। নিরাপত্তার জন্য কোনো ফাঁক রাখা হবে না।

 

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ‘বর্তমানে দেশি-বিদেশি প্রায় ৪০টি বিমান সংস্থা বাংলাদেশে তাদের ফ্লাইট পরিচালনা করছে। ৪৭টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বিমান চলাচল চুক্তি রয়েছে। বাংলাদেশ বিমানের পাশাপাশি বেসরকারি কয়েকটি এয়ারওয়েজ যাত্রীবাহী বিমান এবং ১০-১২টি বিমান সংস্থা কার্গো বিমান ও হেলিকপ্টার পরিচালনা করছে। প্রতিদিন ৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজার যাত্রী আসা-যাওয়া করেন। বিমানবন্দরে নিরাপত্তার ঘাটতি রয়েছে।

তারা বলেন, ‘যাত্রী আসা-যাওয়ার সময় যেনতেনভাবে তল্লাশি করা হয়। রানওয়েতেও তেমন নিরাপত্তা নেই। খোদ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ও নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ঠিক ভাবে দায়িত্ব পালন করে না।

এসব অভিযোগ ওঠার পর নড়েচড়ে বসে বেবিচক। দেশের সব বিমানবন্দরের নিরাপত্তার বিষয়ে বেবিচক চেয়ারম্যান এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কয়েক দফা বৈঠক করেন। নিরাপত্তা-সরঞ্জামের জন্য বেবিচক একটি চিঠি পাঠায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে। চিঠিতে আরও কিছু সমস্যার বিষয়েও বলা হয়। ইডিএস, ডুয়েল ভিউ এক্সরে স্ক্যানিং মেশিন, ডুয়েল ভিউ এক্সরে স্ক্যানিং মেশিন ফর কেবিন উইথ ট্র্রে রিটার্ন সিস্টেম, আন্ডার ভেহিকল স্ক্যানিং মেশিন, এক্সপ্লোসিভ ট্রেস ডিটেক্টর (ইটিডি), লিকুইড এক্সপ্লোসিভ ডিটেকশন সিস্টেম, ডাবল ক্যাব পিকআপ, ইটিভি কনজুম্যাবলস ফর এক্সপ্লোসিভ ট্রান্স ডিটেক্টর েেমশিনের কথা বলা হয় চিঠিতে। আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরের রানওয়ের নিরাপত্তা বাড়াতেও বলা হয়। পুলিশের পাশাপাশি আনসারের সংখ্যাও বাড়াতে বলা হয়েছে।