নিজস্ব প্রতিবেদক ->>
কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, জ্বালানি তেলের দাম বেশি। গ্রামগঞ্জে বেশির ভাগ সময় বিদ্যুৎ থাকছে না। সেচ সংকট তৈরি হয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে মাঠে বন্যার কারণে দেরিতে লাগানো আমনের ক্ষেত এখন সেচের অভাবে ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। সেজন্য আমন নিয়ে বড় অনিশ্চয়তার মধ্যে আছি। মঙ্গলবার বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে ধান, গমসহ ২৮টি ফসলের ভবিষ্যৎ চাহিদা ও যোগান নিরূপণে পরিচালিত গবেষণা প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, গত সোমবার মন্ত্রিসভায় এ পরিস্থিতি নিয়ে অলোচনা হয়েছে। আমি বলেছি, আগস্টের পরে ধানের উৎপাদন কমে যেতে পারে। আগামী ১৫ দিন আমনের সেচের কাজে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী সেটি বিবেচনায় নিয়ে বিদ্যুৎ বিভাগকে রাতে সেচের জন্য নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আশা করছি এ সিদ্ধান্ত তারা (বিদ্যুৎ বিভাগ) পালন করবে। মন্ত্রী বলেন, ব্যবসায়ীরা অনেক চতুর।
তারা আমনের উৎপাদন কমবে জেনে এরইমধ্যে চাল মজুত করছে। সেজন্য বাজারে চালের সরবরাহ কমায় দাম বাড়ছে। ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, আবহাওয়া বিভাগ বলছে গত ৪০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন বৃষ্টিপাত হয়েছে এ বছর। শুধু বাংলাদেশে নয়, ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে একই পরিস্থিতি। ফলে সেচ দিয়ে ধান করতে হচ্ছে। অনেক জায়গায় সেচের অভাবে উৎপাদন ব্যহত হবে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, সেচ সমস্যা হলেও সার নিয়ে যে কথা বলা হচ্ছে সেটা সত্য নয়। আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত চাহিদার অতিরিক্ত সারের মজুত রয়েছে।
তারপরও কিছু ডিলার ও অসাধু ব্যবসায়ী স্থানীয়ভাবে দাম বাড়িয়ে অস্থিরতা তৈরি করেছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। নিত্যপণ্যের দাম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আমরা স্বীকার করছি মানুষ কষ্টে রয়েছে।
যাদের আয় কম তাদের সংসার চালাতে কষ্ট হচ্ছে। তবে আমরা চেষ্টা করছি সেটা সমাধান করার। কীভাবে দ্রুত সবকিছুর দাম কমানো যায় সে চেষ্টা সরকারের রয়েছে। তবে বিশ্ব পরিস্থিতি খুব খারাপ। সেজন্য বিশ্বজুড়েই এ অস্থিতিশীলতা।
আপনার মতামত লিখুন :