ArabicBengaliEnglishHindi

স্ত্রীকে নির্যাতন করে যৌতুক মামলায় গ্রেফতার এড়াতে পলাতক ডাঃ এমরান


প্রকাশের সময় : এপ্রিল ২৮, ২০২৩, ১২:৪৩ অপরাহ্ন / ৫৪০
স্ত্রীকে নির্যাতন করে যৌতুক মামলায় গ্রেফতার এড়াতে পলাতক ডাঃ এমরান

এমদাদুল হক শ্রাবণ ->>

এমরান উদ্দীন চৌধুরী, চট্রগ্রাম মা ও শিশু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিশেষ সুবিধায় নিয়োগ প্রাপ্ত মেডিকেল অফিসার।

পেশী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে শুধুমাত্র প্রতি শুক্রবার হাজিরা দেয়ার কাগজে কলমের চাকরি নেন। হাসপাতালে এক নারীর সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে বিয়ে করেন ২৯/১২/২০২১ তারিখে। বিয়ের পর স্ত্রী তার অধিকার নিয়ে শ্বশুর বাড়ি যেতে চাইলে তালবাহানা শুরু করেন ডাঃ এমরান। বিয়ের পর পর যৌতুক আদায় সহ বিভিন্ন নারী কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েন ডাঃ এমরান। এরপর শুরু করেন মধ্যযুগীয় কায়দায় স্ত্রীকে নির্যাতন।

স্ত্রী রাবেয়া আক্তার এর কাছে ২০ লক্ষ টাকা দাবি করেন ডায়াগনস্টিক সেন্টার করবেন বলে, স্ত্রী অস্বীকার করলে মারধর করে মুমুর্ষ অবস্থায় রেখে পালিয়ে যান। ঘটনার পর তার স্ত্রী ঢাকা মেডিকেল এ চিকিৎসাধীন ছিলেন, অতঃপর তিনি ডাঃ এমরানের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল এ মামলা করলে আসামি ডাঃ এমরান বিভিন্ন ভয় ভীতি দেখিয়ে স্ত্রী রাবেয়া আক্তারকে চাপ প্রয়োগ করেন মামলা তুলে নিতে।

ডাঃ এমরান আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে গ্রেফতার এড়িয়ে বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত থাকেন। নারী ও শিশু দমন ট্রাইবুনাল ৮ এ তার বিরুদ্ধে মামলা চলমান থাকলেও আইন ও বিচার বিভাগকে পাত্তা না দিয়ে আদালত থেকে জারি করা একাধিক গ্রেফতার পরোয়ানা এবং জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আত্মসমর্পন করার নির্দেশ থাকলেও বিশেষ মহলকে কাজে লাগিয়ে ৭ই ফেব্রুয়ারী ২০২৩ এর গ্রেফতার পরোয়ানা, আদালতের জারি করা জাতীয় পত্রিকার ১৪ই মার্চ ২০২৩ এর বিজ্ঞপ্তি তোয়াক্কা না করে পেশী শক্তি ব্যবহার করে দিব্বি ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

চট্রগ্রাম মা ও শিশু মেডিকেলের বিশেষ মহলের আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে সুদূর ময়মনসিংহ থেকে ডাঃ এমরান মাসে একবার কিংবা দুইবার নামে মাত্র হাজিরা দিয়ে নিয়মিত বেতন সহ অন্যান্য সুবিধা আদায় করেন। এই বিষয়ে হাসপাতাল কতৃপক্ষ ও নিশ্চুপ। ছাত্র জীবনে চট্রগ্রাম জেলা ছাত্র শিবির এর সহ-সভাপতি ছিলেন, জামায়াত এর শীর্ষ মহলের আশীর্বাদ নিয়ে আওয়ামীলীগ এর ছায়াতলে মিশে নিজেকে আওয়ামীলীগ এর নেতা দাবি করে বিভিন্ন সুবিধা আদায় করাই তার একমাত্র উদ্দেশ্য।

অনুসন্ধানে জানা যায়, একাধিক বিয়ে করা ছাড়াও নারী কেলেঙ্কারিতে জড়ানো ডাঃ এমরান ভদ্রতার মুখোশ পরা প্রতারণাকারী ও অর্থ আত্মসাতকারী, যৌতুকলোভী এবং নারী নির্যাতনকারী। ডাঃ এমরান উদ্দীন চৌধুরীর স্ত্রী রাবেয়া আক্তার এর দাবি আর কোনো নারীর জীবন যাতে সে নষ্ট করতে না পারে এবং ডাঃ এমরানকে আইনের আওতায় এনে তার সাথে ঘটে যাওয়া অপরাধের বিচার দাবি করেন।