ArabicBengaliEnglishHindi

স্বপ্নপূরণে এগিয়ে চলেছে অদম্য তামান্না


প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ১৬, ২০২২, ১২:০৫ পূর্বাহ্ন / ১৭২
স্বপ্নপূরণে এগিয়ে চলেছে অদম্য তামান্না

যশোর প্রতিনিধি ->>
দুটি হাত ও একটি পা নেই অদম্য এই মেধাবী ছাত্রী তামান্নার, অন্য শিক্ষার্থীদের মত হেঁটে-চলে বেড়াতে পারে না। প্রতিদিন হুইল চেয়ার আর পিতা-মাতা সহপাঠিদের অপেক্ষায় থাকতে হয়। যশোরের গর্ব সেই তামান্নাকে ফোন করেন মানবতার মা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা। যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বাঁকড়া আলীপুরের রওশন আলী ও খাদিজা পারভীন শিল্পী দম্পতির তিন সন্তানের মধ্যে বড় তামান্না আক্তার নূরা। উপজেলার বাঁকড়া ডিগ্রি কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন তিনি। ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত ফলাফলে এসএসসির মতো এইচএসসিতেও জিপিএ-৫ পেয়েছেন তিনি। এছাড়াও জেএসসি ও পিইসিতেও পেয়েছিলেন জিপিএ-৫।

সোমবার ভালোবাসা দিবসে তার জীবনে ঘটে যায় ভিন্ন ঘটনা। সন্ধ্যার দিকে তামান্না পড়াশোনার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তখন ঘড়ির কাটায় সন্ধ্যা ৬টা ৫৬ মিনিট। হঠাৎ হোয়াটসঅ্যাপে ফোন। ফোন রিসিভ করতেই তামান্নার ফোনের ওপাশ থেকে এক নারী বলে উঠলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলছিলাম। আমি কি তামান্নার সঙ্গে কথা বলছি? ফোনের ওপাশের কণ্ঠস্বর শুনে তামান্নার কাছে অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছিল। প্রধানমন্ত্রী তাকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন! এ সময় আবেগে কেঁদেই ফেললেন তামান্না। এক পর্যায়ে কান্না থামাতে বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কান্না থামিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে সালাম দেন তামান্না। এ সময় তামান্না প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা এবং তার স্বপ্ন পূরণে প্রধানমন্ত্রীকে পাশে চান।

প্রধানমন্ত্রীও তার স্বপ্ন পূরণে পাশে থাকার আশ্বাস দেন। তখন তামান্নাকে ‘বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টে’ একটা আবেদন করার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। ওই ট্রাস্টের মাধ্যমে তাকে সব সহযোগিতা দেবেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তামান্নার সঙ্গে টানা চার মিনিটের কথোপোকথনে প্রধানমন্ত্রী তামান্নাকে সাহস না হারাতে বলেন। অভিনন্দন আর ভালোবাসার বন্যায় সিক্ত তামান্না আক্তার নূরার আত্মবিশ্বাস এখন তুঙ্গে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া, অতঃপর বিসিএস ক্যাডার হয়ে দেশের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করার স্বপ্ন এখন তার কাছে ধোঁয়াশা নয়, বরং সময়ের সিঁড়ি বয়ে চলার পথে একরাশ সম্ভাবনাময় উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ তার সামনে।