স্টাফ রিপোর্টার:
পিরোজপুর নেছারাবাদ স্বরূপকাঠি উপজেলার ১নং বল দিয়া ইউপির ৬ নং ওয়ার্ডের ২টি এলজি এসপি ব্রিজের মালামাল বেচে দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বাবুল মেম্বার । সরজমিনে বিন্না গ্রামের শাহ আলম ফকির এর চাউল মালেকের বাড়ির সামনে এলজি এসপির বিরিজ দুটি খাল মাটি দিয়ে ভরাট দেখা যায়।
স্থানীয় একাধিক লোকজন জানান রাস্তার উন্নয়নমূলক কাজ করার জন্য লম্বা ৩০ ফিট ও চওড়া ৬ ফিট ও অন্যটি লম্বা ২৫ ফিট ও চওড়া ৬ ফিট আয়রন ব্রিজ দুটি খুলে ফেলা হয়েছে । ব্রিজের ব্যবহৃত লোহা এবং ভাঙ্গরী ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন বাবুল মেম্বার এলাকার লোকজন জানান । এ ব্যাপারে ৬ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ বাবুল বলেন এগুলো সবই ব্যবহার অযোগ্য তাই বিক্রি করে দিয়েছি । এদিকে সরকারি ব্রিজের মালামাল ক্রেতা মাহবু ব জানান , বাবুল মেম্বার ৩৫১ কেজি পুরান অ্যাঙ্গেল ও বিম ৪৪ টাকার কেজি ধরে আমার কাছে বিক্রি করে। আমি ঐদিন স্বরূপকাঠি মাগুরা গ্রামের এক ব্যবসায়ীর নিকট ৪৭ টাকা দরে বিক্রি করে দিয়।
বিষয়টি নিয়ে ইউনিয়ন সচিব দিদারুল ইসলাম বলেন, ইউনিয়নের পরিষদে এই বিষয়টি জানান নি মেম্বার বাবুল। আমার এখানে কোন রেজুলেশন ও হয়নি বিষয়টি আমি কিছু জানি না আমাদের সবকিছু অজানাই রয়ে গেল। তিনি আরো বলেন সরকারি কোন জিনিস বিক্রি অধিকার ইউনিয়ন পরিষদের নেই। তিনি আরো বলেন এটি উপজেলা অফিসার বিভিন্ন প্রক্রিয়া অনুসরণ করে টেন্ডার ও কমিটি মাধ্যমে টেন্ডার দিতে হয়। মেম্বার বাবুল কোন এই ধরনের প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেই সরকারি সম্পত্তি বিক্রি করে দেন যা সম্পূর্ণ বেআইনি । আরো বলেন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এ বিষয়টি সে কিছুই জানে না এমনকি তার কাছে কোন জিজ্ঞাসা করা হয়নি।
১ নং বলদিয়া ৬ ওয়ার্ডের এলাকাবাসী জানান বাবুর মেম্বার শুধু একের পর এক অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে শুধু এখানে সেখানে। শুধু তাই নয় মানুষের এবং টিসিবি পণ্য টাকাও আগে থেকে ১০০ টাকা করে বেশি নিচ্ছেন এমনটি অভিযোগ করার পরিষদের অসহায় হতদরিদ্র গরিব পরিবার একটি অভিযোগ করেন। সরকারি বরাদ্দ আসলে আমাদের কাছ থেকে রাতে আধারে আমাদের কাছে অগ্রিম টাকা নেন। গণমাধ্যম কর্মীরা জিজ্ঞাসা করলে বাবুল মেম্বারো বলেন আমার পিছে সোহাগ মেম্বার আমার পিছে লাগিয়ে দিচ্ছে শুধু তাই নয় সে বিভিন্ন ধরনের অকারেন্স করে বেড়াচ্ছে এমনকি সে দিকে কোন কেউ খেয়াল রাখেন না ।
আমি কি কিছু না কিছু করলেই আমার বিপক্ষে সাংবাদিক এবং জনগণ মিলিয়ে দেয়। জনগণের কাছে গণমাধ্যম কর্মী জিজ্ঞাসা করলে উল্টা ব্যাখ্যা দেন তারা বলেন, সোহাগ মেম্বার একজন সৎ এবং সাহসী এবং যা কিছু করেন সাথে সাথেই করেন সে শুধু একটাই তার কথা মেম্বাররা যে কয়জন আছেন তারা সবাই মিলে প্রতিটি ওয়ার্ডের গরিব অসহায় মানুষের মাঝে সরকারি বরাদ্দে সুষ্ঠু বন্টন করে দেওয়ার অনুরোধ জানান। ২১/১১-২০22 ইংরেজি টিসিবি পণ্য তার বরাদ্দ কার্ডের ও চেয়ারম্যান স্বাক্ষর ছাড়াই সে গরিবের মানুষের কাছে কাঠ বিলি করেন ৪০৫ টাকায় ,অথচ সেখানে সাংবাদিক গেলে টিএনও এবং চেয়ারম্যানের কোন স্বাক্ষর নেই, তেমনি টি অভিযোগ সরেজমিনে গিয়ে পাওয়া যায়।
আপনার মতামত লিখুন :