ArabicBengaliEnglishHindi

হঠাৎ দেশের অর্ধেক এলাকা বিদ্যুৎহীন


প্রকাশের সময় : অক্টোবর ৪, ২০২২, ৯:৫২ অপরাহ্ন / ১০০
হঠাৎ দেশের অর্ধেক এলাকা বিদ্যুৎহীন

নিজস্ব প্রতিবেদক ->>
গ্রিড বিপর্যয় হলে সব বিদ্যুৎকেন্দ্র স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যায়। তার প্রতিটি ম্যানুয়ালি চালু করতে হয়। এটি আবার বেশ কষ্টসাধ্য এ কারণে যে, বন্ধ কেন্দ্র চালু করতেও বিদ্যুৎ লাগে। সে জন্য দেশে চালু আছে এমন কেন্দ্র থেকে বা চালু করতে বিদ্যুৎ লাগে না, এমন কেন্দ্র আগে উৎপাদনে নিয়ে আসতে হয়। তারপর সেখান থেকে বিদ্যুৎ নিয়ে অন্য কেন্দ্র চালু করতে হয়।

বিদ্যুতের লোডশেডিং পরিস্থিতির মধ্যেই পূর্বাঞ্চলীয় গ্রিড ফেল করায় দেশের একটি বড় অংশ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে এই বিপর্যয় ঘটে।

বিদ্যুৎ বিতরণে সরকারি কোম্পানি পাওয়ার গ্রিডের একজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এই গ্রিডের আওতায় ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। ফলে এই চার বিভাগে বিদ্যুৎ নেই বললেই চলে।

এই বিপর্যয়ের কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি ওই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘কারণ জানার পাশাপাশি বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা পুনঃস্থাপনের চেষ্টা চলছে।’

বিদ্যুতের লোডশেডিং গত তিন মাস ধরে একটি স্বাভাবিক চিত্র। যে কারণে দুপুরের দিকে হঠাৎ করে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পর এটি যে বিপর্যয় তা বুঝে উঠতেও সময় লাগে। বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা আসেনি।

তবে বিভিন্ন জেলায় বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা গ্রিড বিপর্যয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড-পিডিবি চট্টগ্রাম শাখার প্রধান প্রকৌশলী রেজাউল করিম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘একটু সমস্যা হয়েছে, আমাদের ইস্টার্ন গ্রিড ফেল করেছে। যমুনার এপারে (পূর্ব) যেটা সেটা। এতে ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, সিলেটের সব জায়গায়ই ফেল। সময়টা ঠিক আমি খেয়াল করিনি, তবে ২টার দিকে হয়েছে।’

সিলেট পিডিবির প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল কাদির বলেন, ‘জাতীয় সঞ্চালন লাইনে ত্রুটির কারণে দেশের চারটি বিভাগই বিদ্যুৎহীন। সব বিদ্যুৎকেন্দ্রও বন্ধ। কখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে তা বলা যাচ্ছে না। তবে সময় লাগবে।’

রাষ্ট্রায়ত্ত বিদ্যুৎ সংস্থাটির নেত্রকোণা কার্যালয়ের প্রকৌশলী মুখলেছুর রহমান বলেন, ‘জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়ের কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।’

বিদ্যুৎ সরবরাহ আবার চালু করতে কত সময় লাগতে পারে- এই প্রশ্নে পাওয়ার গ্রিডের সেই কর্মকর্তা জানান, এতে বেশ কয়েক ঘণ্টা সময় লাগবে। কারণ, গ্রিড বিপর্যয় হলে সব বিদ্যুৎকেন্দ্র স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যায়। তার প্রতিটি ম্যানুয়ালি চালু করতে হয়।

এটি আবার বেশ কষ্টসাধ্য এ কারণে যে, বন্ধ কেন্দ্র চালু করতেও বিদ্যুৎ লাগে। সে জন্য দেশে চালু আছে এমন কেন্দ্র থেকে বা চালু করতে বিদ্যুৎ লাগে না, এমন কেন্দ্র আগে উৎপাদনে নিয়ে আসতে হয়। তারপর সেখান থেকে বিদ্যুৎ নিয়ে অন্য কেন্দ্র চালু করতে হয়।

এভাবে প্রতিটি কেন্দ্রই আলাদা আলাদা চালু করার পর তার আওতাধীন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করতে হয়।

২০১৪ সালের ১ নভেম্বর দেশে সবশেষ বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দিয়েছিল। সেদিন বেলা ১১টা ২৭ মিনিট ৪১ সেকেন্ডে সারাদেশ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। ১২ ঘণ্টা পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।