ArabicBengaliEnglishHindi

হোমনায় প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের বরাদ্দকৃত অর্থ আত্নসাতের অভিযোগ


প্রকাশের সময় : অগাস্ট ৩০, ২০২২, ৭:৩১ অপরাহ্ন / ২৬৭
হোমনায় প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের বরাদ্দকৃত অর্থ আত্নসাতের অভিযোগ

হোমনা(কুমিল্লা) প্রতিনিধি ->>
কুমিল্লার হোমনায় প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য অ্যাসিসটিভ ডিভাইস ক্রয়ের বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা প্রাথমিক কর্মকর্তারেবিরুদ্ধে।

 

মসজিদ নির্মাণ কাজে আর্থিক সাহায্যের আবেদন

 

২০২১-২২ অর্থবছরে ৭৪ হাজার ৪০০ টাকা বরাদ্দ পেলেও প্রতিবন্ধীদের জন্য কোনো অ্যাসিসটিভ ডিভাইস বা সামগ্রী ক্রয় না করে বিল ভাউচার দেখিয়ে পুরো টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আহসান।

জানা যায়, ২০২১-২২ অর্থবছরে ৪২ জন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের অ্যাসিসটিভ ডিভাইস ও সামগ্রী ক্রয়ের জন্য ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকার চাহিদার বিপরীতে হোমনা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা পরিকল্পনা কর্মসূচির আওতায় ৭৪ হাজার ৪০০ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।

কিন্তু রহস্যজনক কারনে প্রতিবন্ধীদের জন্য অ্যাসিসটিভ ডিভাইস বা সামগ্রী ক্রয় না করে বিল ভাউচার দেখিয়ে সে অর্থ উত্তোলন করা হয়েছে। যদিও বিধানমতে এ ধরনের বরাদ্দ প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে কমিটির মিটিং করে টেন্ডার বা কোটেশানের মাধ্যমে তা ক্রয় করার বাধ্যবাধকতা ছিল কিন্তু এ সংক্রান্ত মিটিং এর কোন প্রমান দেখাতে পারেননি চলতি দায়িত্বে থাকা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। হোমনা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামাল উদ্দিন মাষ্টার জানান, আমার স্কুলে তিনজন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী রয়েছে কিন্তু তারা আজ পর্যন্ত কোনো ডিভাইস বা সামগ্ৰী পায়নি।

হোমনা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আহসান জানান, সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের প্রতিবন্ধীদের তালিকা সংশোধনের কারনে ডিভাইস বা সামগ্রী বিতরণ করতে পারেননি।জুন মাসে বিল উত্তোলন না করলে অর্থ রিফান্ড হয়ে যাবে। তাই বিলভাউচার দেখিয়ে একাউন্টে জমা করে রেখেছি।

পরে প্রতিবন্ধীদের তালিকা সংশোধন করে অ্যাসিসটিভ সামগ্রী ও সামগ্রী বিতরণ করা হবে। এ ছাড়া করোনার কারনে শিক্ষা কমিটিও আপটেড ছিল না। তাই এমনটা করতে হয়েছে। আমি কখনোই কোনো অনিয়মের সঙ্গে জড়িত নই।ক্রয় কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমন দে জানান, শিক্ষা অফিসার এ সংক্রান্ত কোন তথ্য আমাকে জানানো হয়নি।

বিষয়টি জেনে তদন্তে প্রমানিত হলে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে। উপজেলা শিক্ষা সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতিও উপজেলা চেয়ারম্যান রেহানা বেগম জানান, উপজেলা শিক্ষা কমিটির মিটিংয়ে এ সংক্রান্ত কোন তথ্য উপস্থাপন করা হয়নি। কুমিল্লা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুল মান্নান এর মুঠোফোন রিসিভ না করায় তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।