ArabicBengaliEnglishHindi

হোমনায় নগদ একাউন্ট হ্যাক করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ


প্রকাশের সময় : জুলাই ৩১, ২০২২, ৮:২৮ অপরাহ্ন / ৬৭
হোমনায় নগদ একাউন্ট হ্যাক করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ

হারুন অর রশিদ,হোমনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি ->>

কুমিল্লার হোমনায় নগদ একাউন্ট হ্যাক বিভিন্ন কৌশলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মসজিদ নির্মাণ কাজে আর্থিক সাহায্যের আবেদন

সরকার নগদ একাউন্টের মাধ্যমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মোবাইলে টাকা প্রদান করে। আর সেই টাকা তুলতে নগদ এজেন্টের দোকানে গিয়ে অধিকাংশ অভিভাবক দেখেন তাদের টাকা আগেই কেউ না কেউ তুলে নিয়ে গেছে।

হোমনা-২ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আমেনা হক নামে একজন অভিভাবক জানান, আমার মোবাইলে (০১৩২১৪২৬২৬৮) নগদ একাউন্টে আসা টাকা দোকানে তুলতে গেলে দোকানদার বলে আপনার টাকা অন্য কেউ তুলে নিয়ে গেছেন। এই রকম শুধু আমার নয় স্কুলে বেশীর ভাগ শিক্ষার্থীর টাকা তুলে নিয়ে গেছে হ্যাকার চক্র।

গতকাল রবিবার (৩১ জুলাই)
উপজেলার চুনারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩ জন শিক্ষার্থীর অভিভাবক ফজলুর রহমান ইউএনও,উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও ওসি বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেছেন তার নাতনি, লাকি আক্তার, সুমাইয়া আক্তার ও সানজিদা আক্তার চুনারচর সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাদের ০১৮৩৫০৯৪৫৫৩ নম্বরে(পিন৫৫৫১)২৯০০/-টাকা,০১৮৬৫৪০৮৮১৭(পিন-৭৭৮৮)২০০টাকা,০১৩২১৪২৬২৬৮(পিন ১৯৭৩) ২০০০/- মোট-৬৯০০/- টাকা তুলতে গিয়ে দেখি গত ২০ জুলাই ২.০০ মিনিটে ০১৯০৬৪৯৩৮৩৫ নম্বরে ২৯০০/-টাকা,২.৪০ মিনিটে ০১৭৩৩০০৬৪৪৭ নম্বরে ২০০০/-টাকা, ২.৩৯ মিনিটে ০১৭৮৭০০২৮৭৭ নম্বরের মাধ্যমে ২০০০/- টাকা উত্তোলন করা হয়েছে।

উপরোক্ত পিন নম্বারগুলো রিসেট করে পাওয়া গেছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, নগদ কোম্পানির যোগসাজশে এই টাকা তোলা হয়েছে। নগদের অভ্যন্তরীন সহযোগিতা ছাড়া আই ডি কার্ড বা পিন নম্বর বাদে এজেন্ট নম্বরে এ ক্যাশ আউট কিভাবে হতে পারে বলে তিনি প্রশ্ন রাখেন।

হোমনা বাজারের বিশিষ্ট মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবসায়ী মাইনুদ্দিন জানান, প্রতিদিন শত শত মানুষ আসছে যাদের টাকা প্রতারণার মাধ্যমে তুলে নেওয়া হয়েছে। এই পর্যন্ত তিনি অনেকগুলো নম্বর সরবরাহ করেছেন যাদের টাকা প্রতারকরা বিভিন্ন কৌশলে তুলে নিয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হোমনা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আহসান বলেন, আমরা পিন রিসেট করতে পারেনি এমন ধরণের অভিযোগ পেয়েছি। কিন্ত একাউন্ট হ্যাক করে টাকা উত্তোলন করেছে তা জানা ছিল না। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করবো। এদিকে নগদের আঞ্চলিক জনসংযোগ কর্মকর্তা মাধব দে জানান, পিন নম্বর না জানা থাকলে টাকা তোলা সম্ভব নয়।

তাহলে কিভাবে বন্ধ একাউন্ট থেকে টাকা উঠে গেলো এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিষয়টি আমাদের টেকনিক্যাল টিমের সাথে কথা বলে দেখবো কি করা যায়।
এদিকে ভুক্তভোগী অনেক অভিভাবক ক্ষোভের সাথে বলেন, সরকার ভালোর জন্য মোবাইলে টাকা দিচ্ছে কিন্তু আমরা এর সুফল পাচ্ছি না। টাকা না পেয়ে অনেক অভিভাবক ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে এই প্রতারণার সাথে জড়িত সকলকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।