ArabicBengaliEnglishHindi

হোমনায় হোটেল রেস্টুরেন্টে মানহীন খাবার পরিবেশনের অভিযোগ


প্রকাশের সময় : জুলাই ২৬, ২০২২, ৮:২৬ অপরাহ্ন / ৮৯
হোমনায় হোটেল রেস্টুরেন্টে মানহীন খাবার পরিবেশনের অভিযোগ

মোঃ হারুন অর রশিদ হোমনা( কুমিল্লা) প্রতিনিধি ->>
কুমিল্লার হোমনা উপজেলার বিভিন্ন হোটেল রেস্টুরেন্টে নিম্ন মানের পচা-বাসি খাবার বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

 

মসজিদ নির্মাণ কাজে আর্থিক সাহায্যের আবেদন

 

শুধু তাই নয় হোটেলে নিম্নমানের পচাপেঁয়াজ-রসুন, মরিচসহ মসলা ব্যবহার করে এসব দিয়ে রান্না করা খাবার দেদারছে গ্রাহকদের মাঝে বিক্রি করা হচ্ছে প্রায়ই হোটেলগুলোতে। এমনকি বিভিন্ন তরকারিতে কেমিক্যাল দিয়ে সু-স্বাদু ও মুখরোচক খাবার তৈরি করে তা সরবরাহ করা হচ্ছে বিভিন্ন অফিস ও অনুষ্ঠানে।

অভিযোগ রয়েছে এসব হোটেল-রেস্তোরায় রোগাক্রান্ত গরু-ছাগল-মুরগির মাংস প্রতিনিয়ত বিক্রি করা হচ্ছে। লক্ষ্য করা গেছে, এসব হোটেল-রেস্তোরার রান্নাঘর অত্যন্ত নোংরা এবং দূর্গন্ধময়। আর এসব রান্নাঘরেই রান্না করে গ্রাহকদের খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে।
এদিকে স্থানীয় প্রশাসন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইনে অভিযান পরিচালনা করে হোটেল রেস্তোরাগুলো জরিমানা আদায় করা হলেও প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে থেমে নেই পচা বাসি খাবার পরিবেশন।

অভিযোগ উঠেছে মঙ্গলবার উপজেলার মাসিক সমন্বয় সভার জন্য কাচ্ছি বিরানী আনা হয় স্থানীয় কাচ্ছি নগর রেস্টুরেন্ট থেকে। কিন্ত উক্ত খাবার পরিবেশন করা হলে মাংস শক্ত ও মাংস থেকে পচা গন্ধ পাওয়া যায়। ফলে কেহ তৃপ্তিসহকারে উক্ত কাচ্ছি কিরানী খেতে পারে নাই। ফেলে দিতে হয়েছে।
এ বিষয়ে সমন্বয় সভার সদস্য একাধিক ইউপি চেয়ারম্যান এ প্রতিবেদককে জানান, কাচ্ছি নগর রেস্টুরেন্টের খাবার ( কাচ্ছি বিরানীর) মান খুব খারাপ আমরা কেহ তৃপ্তিসহকারে খেতে পারি নাই। বিরানীর মাংস সিদ্ধ হয়নাই। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া জরুরী।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে উপজেলার চৌরাস্তায় অবস্থিত কাচ্ছি নগর রেস্টুরেন্টের রানাঘর নোংরা,রান্না ঘর থেকে দূর্গন্ধ বের হচ্ছে। ভোক্তা অধিকার আইন অমান্য করে নিজের ইচ্ছা মত মূল্যে খাবার বিক্রি করছে। মূল্য তালিকায় কাচ্ছি বারানী ২৬০/-টাকা, বোরহানির লিটার ২০০/- টাকা করে বিক্রি করছে।
এদিকে হোমনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আব্দুল হক সরকার বলেন, হোটেল রেস্টুরেন্টে নিম্নমানের খাবার পরিবেশন করলেও স্যানিটারী ইন্সপেক্টর রহস্যজনক কারনে দেখেও না দেখার ভান করে চলেন।

 

মসজিদ নির্মাণ কাজে আর্থিক সাহায্যের আবেদন

 

এদিকে উপজেলা পরিষদ রোডে অবস্থিত রামপুরা হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টের মালিক মো.আবু বকর ছিদ্দিক জানান, অনেক হোটেলেই খাবার মান সম্মত নয় পরিবেশও ভাল নয়। এ কারনে মাঝে মাঝে প্রশাসন মোবাইল কোর্টে পরিচালনা করছে। উপজেলা সদরের কোন হোটেলে নিম্নমানের খাবার পরিবেশন করা সম্ভব নয়। তবু যে সমস্ত হোটেলে নিম্ন মানের খাবার পরিবেশন করা হয় সে সমস্ত হোটেলকে মোবাইল কোর্টের আওতায় আনা উচিৎ।

এ বিষয়ে কাচ্ছি নগর রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার জানান, আমাদের খাবারের মান ভাল, কিন্ত আজকে বিরানীর মাংসটা একটু শক্ত রয়েছে তা ছাড়া সবই ঠিক আছে। আমাদের রেস্টুরেন্টে পচা বাসি খাবার পরিবেশন করা হয় না।

এ বিষয়ে হোমনা উপজেলার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক জাকিয়া পারভিন মুঠোফোনে জানান, ইতোমধ্যেই উপজেলার বিভিন্ন হোটেল রেস্টুরেন্টে অভিযান পরিচালনা করে জরিমানা করা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত থাকবে।