ArabicBengaliEnglishHindi

৪০ দিন জামাতে নামাজ পড়ে বাই সাইকেল পেল মোহনপুরের ৬ জন


প্রকাশের সময় : মার্চ ১, ২০২২, ১০:০৬ অপরাহ্ন / ১৬৫
৪০ দিন জামাতে নামাজ পড়ে বাই সাইকেল পেল মোহনপুরের ৬ জন

সৈয়দ আ: হালিম রাজশাহী ->>

কিশোর-যুবকদের নামাজের প্রতি আকৃষ্ট করতে পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছিলেন মসজিদের ইমাম। সেই ঘোষণায় আকৃষ্ট হয়ে টানা ৪০ দিন জামাতে নামাজ পড়ে পুরস্কার জিতে নিয়েছে মোহনপুরে ৬ জন। ধূরইল পাঠানপাড়া জামে মসজিদ পেশ ইমাম রাজশাহী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থী তরুন আলেম মোঃ শামিম আহম্মেদ-এর আয়োজনে এমনই আয়োজন হল।
জানা যায়, মোহনপুর উপজেলার ধূরইল পাঠানপাড়া জামে মসজিদের পেশ ইমাম মোঃ শামিম আহম্মেদ ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, ১০-৩০ বছরের কম বয়সের কিশোর- যুবকরা যদি একটানা ৪০ দিন ৫ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করে, তাহলে তাদেরকে একটি করে বাই সাইকেল পুরষ্কার দেয়া হবে। সে ঘোষণায় উৎসাহিত হয়ে এলাকার অনেক কিশোরই নামাজ আদায় শুরু করে। টানা ৪০ দিন নিয়মিত জামাতে নামাজ পড়েছেন, এমন ৬ জনের হাতে মঙ্গলবার বিকালে সেই পুরষ্কার তুলে দেওয়া হয়। পুরস্কার প্রাপ্ত হলেন-বোরহান উদ্দিন(৩০),আমিনুল ইসলাম(১৮),শাহাদত হোসেন (১৮),মেহেদী হাসান (১৪),নাহিদ হাসান (১৩),ও ইমরান হোসেন(১০)।
শিশু-কিশোর এবং যুবকদের নামাজের প্রতি আকৃষ্ট করে মসজিদমুখী করার লক্ষ্যে আয়োজিত এমন উদ্যোগ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। উক্ত পুরুস্কার বিতরন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পেশ ইমাম মোঃ শামিম আহম্মেদ। প্রধান অতিথি ছিলেন হরিপুর দারুস সুন্নাহ মহিলা সালাফিয়্যাহ মাদরাসা সভাপতি মোঃ আমিমুল এহসান ফিরোজ। বিশেষ অতিথি ছিলেন আলহাজ্ব ময়েজ উদ্দিন,খোরশেদ আলমসহ গনমান্য ব্যাক্তি বর্গ উপস্থিত ছিলেন। বিষয়টি সম্পর্কে পেশ ইমাম শামিম আহম্মেদ বলেন, ঘোষণার পর থেকে প্রায় ৩০-৪০ জন কিশোর মসজিদে নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করা শুরু করে। তারা ঠিকমতো নামাজ আদায় করছে কিনা তা হিসার রাখার জন্য প্রতি ওয়াক্ত নামাজের পর হাজিরা নেয়া হতো।
যদি কেউ কোনো ওয়াক্তে অনুপস্থিত থাকতো তখন তার গণনা বন্ধ করে দেয়া হতো। তবে সে চাইলে তার নাম আবার লিখিয়ে নতুন করে নামাজের দিন গণনা শুরু করতে পারত। এভাবে নিয়মিত যাচাই-বাছাই ও হাজিরার ভিত্তিতে সর্বশেষ ৬ জন বিজয়ী হয়। তিনি বলেন, প্রতিযোগিতা চলাকালীন সময়ে তাদের শুধু নামাজই পড়ানো হয়নি। বরং সঠিকভাবে নামাজ শিক্ষা ও নামাজ সম্পর্কে জরুরী মাসয়ালাও শেখানো হয়, সেই সঙ্গে তালিম-তছবিহ্ এবং নামাজের প্রতি মানুষকে আহবানের পাশাপাশি দ্বীনি ইসলাম সম্পর্কে শিক্ষা দেয়া হয়েছে।
ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগ গ্রহণে কীভাবে উদ্ধুদ্ধ হলেন, জানতে চাইলে শামিম আহম্মেদ জানান, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান কিশোরদের মসজিদমুখী করতে এমন একটি উদ্যোগ নিয়েছেন। সে থেকেই অনুপ্রাণিত হয়েছেন । তিনি বলেন, একদিন পত্রিকায় দেখি, ভারতেও এমন একটি উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।বিষয়টি আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আমি সেখান থেকে অনুপ্রাণিত হই এবং একদিন জুমাপূর্ব বয়ানে বিষয়টি উত্থাপন করি।
আলহামদুলিল্লাাহ উপস্থিত মুসল্লিরা একাত্মতা প্রকাশ করেন। ইমামের এমন কার্যক্রমে এলাকার কিশোর-যুবকেরা নামাজের প্রতি আগ্রহী করে তুলছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এরপর থেকে কিশোর নিয়মিত নামাজে আসছে বলেও জানান তারা।