মামুনুর রহমান, ঈশ্বরদী (পাবনা) ->>
বগুড়া আমতলি মডেল স্কুলে দিনব্যাপি আয়োজিত অনারম্বর অনুষ্ঠানে তাঁকে এই সম্মননা পদক প্রদান করা হয়। এছাড়াও সরকারের দায়িত্বশীল জনবান্ধব কর্মকর্তা হিসেবে অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক, সমাজ সেবায় ডাঃ রেজাউল করিম, দক্ষ স্কুল পরিচালক মীর মহরম আলী ও করোনা যোদ্ধা মুশফিকুর রহিমসহ এগারোজনকে বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষ অবদান রাখায় গুণীজন হিসেবে সম্মাননা পদক প্রদান করা হয়। উত্তরাঞ্চলের বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অন্যতম প্রতিষ্ঠান বগুড়া শিবগঞ্জের আমতলী মডেল হাইস্কুলে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ভিন্ন মাত্রা ও পরিবেশে আলোচনাসভা, গুণীজন সংবর্ধনা, নৃত্যানুষ্ঠানসহ মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ঐদিন সকাল থেকে রাত দশটা পর্যন্ত স্কুল চত্বরে স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রখ্যাত সাংবাদিক ও সমাজ সেবক মীর লিয়াকত আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন,র্যাব-৪ ঢাকার অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক বিপিএম বার, পিপিএম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ট্রপিক্যাল হোমসের চেয়ারম্যান ডাঃ রেজাউল করিম, শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে কুলসুম শম্পা,শিবগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানভীর ইসলাম ও শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ দীপক কুমার রায়। অনুষ্ঠানে সাংবাদিকতা ও সমাজ সেবায় গুণীজন হিসেবে বাংলা টিভি ও দৈনিক জনকন্ঠের সাংবাদিক তৌহিদ আক্তার পান্না, দায়িত্বশীল কর্মকর্তা হিসেবে অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক,সমাজ সেবায় ডাঃ রেজাউল করিম,দক্ষ স্কুল পরিচালক মীর মহোরম আলী ও করোনা যোদ্ধা মুশফিকুর রহিমসহ এগারোজনকে গুণীজন হিসেবে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। একই সাথে বই পড়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে শীর্ষ স্থান অধিকারী পঞ্চাশ শিক্ষার্থীকেও পুরস্কার প্রদান করা হয়। শতভাগ পাসসহ ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়ে স্কুলটি গৌরব অর্জন করেছে। কয়েক বছরের ফল \ ২০১৮ সালে জেএসসিতে ২৯ জনের মধ্যে ১৩ জনই এ-প্লাস। বৃত্তি পেয়েছে ৬ জন। ২০১৭ সালে জেএসসিতে ২৭ জনের মধ্যে ২৫ জনই এ- প্লাস । বৃত্তির ফল প্রকাশ হয়নি। ২০১৬ সালে জেএসসিতে ২৬ জনের মধ্যে ২৬ জনই এ- প্লাস । বৃত্তি পেয়েছে ১৩ জন। ২০১৫ সালে জেএসসিতে ২৪ জনের মধ্যে ১৮ জনই এ- প্লাস । বৃত্তি পেয়েছে ৬ জন। ২০১৮ সালে পিইসিতে ৪৯ জনের মধ্যে ৪৮ জনই এ- প্লাস । বৃত্তি পেয়েছে ৭ জন। ২০১৭ সালে পিইসিতে ৩৩ জনের মধ্যে ৩২ জনই এ- প্লাস । বৃত্তির ফল প্রকাশ হয়নি। ২০১৬ সালে পিইসিতে ৩১ জনের মধ্যে ২৩ জন এ- প্লাস । বৃত্তি পেয়েছে ৯ জন। ২০১৫ সালে পিইসিতে ২৬ জনের মধ্যে ১৩ জন এ-প্লাস বৃত্তি পেয়েছে ৩ জন। ২০১৪ সালে পিইসিতে ২৪ জনের মধ্যে ১৪ জন এ-প্লাস। বৃত্তি পেয়েছে ৫ জন। ২০১৩ সালে পিইসিতে ২৫ জনের মধ্যে ২১ জন এ-প্লাস। বৃত্তি পেয়েছে ৩ জন। ২০১২ সালে পিইসিতে ১৮ জনের মধ্যে ১৭ জন এ-প্লাস। বৃত্তি পেয়েছে ৩ জন।২০১১ সালে পিইসিতে ১৭ জনের মধ্যে ৮ জন এ-প-াস। বৃত্তি পেয়েছে ৩ জন। স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষায় নার্সারি থেকে ৯ম শ্রেণিতে ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অধিকারীকে দেয়া হয় উপহার সামগ্রী।পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষায় বৃত্তিপ্রাপ্তদের বেতন ফ্রি।। শিক্ষা বৃত্তি হিসেবে চালু রয়েছে পে- গ্রুপ থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত মা অথবা বাবা-হারা ছাত্র-ছাত্রীর জন্য বিনামূল্যে পড়ার সুযোগ। পিইসি, জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ঐ বছরে নেয়া বেতন ফেরত। কারণ আমাদের ধারণা, কর্তৃপক্ষীয় গাফিলতি না থাকলে শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অকৃতকার্য হতো না। একই চত্বরে আরও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ভাষাসৈনিক বাহাউদ্দীন চৌধুরী পাঠাগার রয়েছে। সমৃদ্ধ জাতি গঠনে পাঠাগারের গুরুত্ব অপরিসীম। এটি শিশু-কিশোরদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ভদ্ধ করে বাঙালী জাতীয়তাবাদের লক্ষ্যে সুস্থ শিল্প-সাহিত্য এবং সংস্কৃতি চর্চার প্রসারে অবদান রাখছে। একাডেমিতে আপাতত: শেখানো হচ্ছে সংগীত, নৃত্য, তবলা, ড্রইং ও আবৃত্তি। একটি পরিচালন কমিটির মাধ্যমে আমতলী সাংস্কৃতিক একাডেমি পরিচালিত হয়। কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মীর লিয়াকত আলী।
আপনার মতামত লিখুন :