স্বপন সরকার, কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি ->>
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে গতকাল শনিবার দিনে-দুপুরে মৎস্য খামারের একটি গোডাউনে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আগুনে মৎস্য খাদ্য, মেডিসিন, জাল, ফ্যান, মেশিনসহ প্রায় ১৫ লাখ টাকার বিভিন্ন মালামাল পুড়ে গেছে।
এলাকাবাসী ও ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য খামারী সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার নলুয়া এলাকায় গতকাল শনিবার সকাল ১০টার দিকে মেসার্স ফাহিদ মৎস্য খামারে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। ওই এলাকার হেলাল উদ্দিন মন্ডলের ছেলে ও বোয়ালী ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য মজনু মন্ডল মেম্বার দীর্ঘদিন ধরে ৩/৪ টি মৎস্য খামার ভাড়া নিয়ে মাছ চাষ করে আসছে।
এসব মৎস্য খামারকে ঘিরে ওই এলাকার এমদাদুল হক মিলন ও তার ভাই রহমত উলস্নাহ গংদের সাথে তার বিরোধ চলে আসছিল। কিন্তু গতকাল শনিবার সকালে তার বেতনভুক্ত দুই কর্মচারী তাদের অন্য খামারে পরিচর্যা করতে যান। এ সুযোগে সকাল ১০টার দিকে কে বা কাহারা মজনু মন্ডলের ওই খামারের গোডাউনে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুনে ওই গোডাউন এবং তার ভেতরে থাকা মৎস্য খাদ্য, মেডিসিন, জাল, ফ্যান, মেশিনসহ প্রায় ১৫ লাখ টাকার বিভিন্ন মালামাল পুড়ে গেছে।
এ ঘটনায় মজনু মন্ডল মেম্বার বাদী হয়ে ওইদিন বিকেলে কালিয়াকৈর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ৯৯৯-এ ফোন দিলেও প্রশাসন কোনো সহযোগীতা করেনি বলেও জানান ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য খামারী মজনু মন্ডল মেম্বার। তিনি বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে আগে থেকে উৎপেতে থাকা এমদাদুল হক মিলন ও রহমত আলী গংরাই দিনে-দুপুরে আমার খামারের গোডাউনে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। এতে আমার প্রায় ১৫ লাখ টাকার ÿয়ÿতি হয়েছে। এর আগেও তারা আমার মৎস্য খামারের ক্ষতি করেছে।
অভিযুক্তদের মধ্যে রহমত উল্লাহ জানান, মজনু মেম্বারের খামারে আমাদের জমি আছে। এ নিয়ে বিরোধ থাকলেও কারা অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে? তার আমার জানা নেই।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবজাল হোসেন জানান, অগ্ন্িকান্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আগুনে পুড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে কিভাবে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে? তা আমার জানা নেই।
কালিয়াকৈর থানার ডিউটি অফিসার উপপদির্শক (এসআই) হাফিজুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :