নিজস্ব প্রতিনিধি ->>
চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বাড়ায় এবং ভারত থেকে আমদানি স্বাভাবিক থাকায় রাজধানীর বাজারগুলোয় কমেছে পেঁয়াজের দাম।
গত ১৫ দিনের ব্যবধানে সব ধরনের পেঁয়াজে ৪-১০ টাকা কমেছে। তবে দাম কমার এই হারে সন্তুষ্ট নন ক্রেতারা। সোমবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারের পাইকারি পেঁয়াজের বাজার ঘুরে দেখা যায়, বর্তমানে আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজের পাল্লা (৫ কেজি) বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা করে। কেজিতে যা পড়ছে ৫৬ টাকা। গত ১৫ দিন আগে এই বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের পাল্লা বিক্রি হয়েছিল ৩০০ টাকা। কেজিতে যা পড়েছিল ৬০ টাকা। অর্থাৎ, গত ১৫ দিনের ব্যবধানে এই পেঁয়াজের দাম কমছে কেজিতে চার টাকা।
গত ১৯ আগস্ট ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপের পর বাংলাদেশের বাজারে কেজি প্রতি পেঁয়াজের দাম ১০-১৫ টাকা বেড়ে যায়। সেই দামই এখন কিছুটা কমছে। এদিকে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম কমার প্রভাবে কমছে দেশি পেঁয়াজের দামও। বর্তমানে কারওয়ান বাজারে পাবনার পেঁয়াজের পাল্লা বিক্রি হচ্ছে ৪২০ টাকা। কেজিতে যা পড়ছে ৮৪ টাকা। ফরিদপুরের পেঁয়াজের পাল্লা বিক্রি হচ্ছে ৩৬০-৩৭০ টাকা, কেজিতে ৭২-৭৪ টাকা। রাজশাহীর পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা, কেজিতে ৮০ টাকা। গত ১৫ দিন আগে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির পর দেশি পেঁয়াজেরও দাম বেড়েছিল। তখন পাবনার পেঁয়াজের পাল্লা ৪৫০ টাকা (কেজিতে ৯০ টাকা), ফরিদপুরের পেঁয়াজের পাল্লা ৩৯০-৪০০ টাকা (কেজিতে ৭০-৮০ টাকা) এবং রাজশাহীর পেঁয়াজের পাল্লা ৪৫০ টাকা (কেজিতে ৯০ টাকা) বিক্রি হয়েছিল। পেঁয়াজের দাম কমার কারণ জানতে চাইল কারওয়ান বাজারের পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতা মো. সোহরাব আলী বলেন, গত ১৫ দিন আগে ভারতীয় পেঁয়াজের ওপর শুল্ক বসানোর পর সেটির দাম বেড়েছিল।
তখন দেশি পেঁয়াজেরও দাম বেড়েছিল। এখন দাম দুই ধরনের পেঁয়াজেরই দাম কমছে। মো. মানিক নামের আরেক বিক্রেতা বলেন, কাঁচামালের দাম বাড়বে ও কমবে। এটি নির্ভর করে চাহিদা ও সরবরাহের ওপর। এখন সরবরাহ বেশি, চাহিদা কম। তাই দামও কম। মাসের শুরুতে সাধারণত দাম একটু বেশি থাকে। মো. শাহিন হোসেন ময়না নামের আরেক বিক্রেতা বলেন, পেঁয়াজের দাম আর কমবে না। তবে বাড়বে কিনা সেটি নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। এটা সরবরাহ ও চাহিদার ওপর নির্ভর করে। তবে মো. অন্তর নামের আরেক বিক্রেতা বলেন, পেঁয়াজের দাম আরও বাড়তে পারে। তবে পেঁয়াজের দাম কমার পরও সন্তুষ্ট নন ক্রেতারা। তারা বলছেন, দাম বাড়ার সময় যতটুকু বাড়ে, কমার সময় তার অর্ধেকও কমে না। বর্তমানে পেঁয়াজের দাম যা হওয়ার কথা, তার থেকে দাম অনেক বেশি।
আবদুর রহিম নামের এক বেসরকারি চাকরিজীবী বলেন, যে হারে দাম বাড়ে, সে হারে কমে না। ২০০ টাকার পেঁয়াজ এখন ২৮০-৩০০ টাকা। দাম বাড়ার সময় ১০০ টাকা বাড়ে, আর কমার সময় কমে ২০ টাকা। বাজারের ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ না থাকায় ব্যবসায়ীরা এমন দাম বৃদ্ধি-হ্রাসের খেলা খেলে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গৃহিণী বলেন, দাম কমেছে কই? আমি তো প্রায় একই দাম দেখছি। বাজারে এলে আমাদের মতো সাধারণ ক্রেতাদের কষ্ট হয়ে যায়।
আপনার মতামত লিখুন :