বিশেষ প্রতিনিধি ->>
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে পুলিশসহ শতাধিক আহত হয়েছেন।
বুধবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত নাঙ্গলকোট পৌর বাজার, রেলগেট, লোটাস চত্বরসহ আশপাশের এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে। এ সময় থানার ওসি ফারুক হোসেনসহ চার পুলিশ সদস্য আহত হন।
সংঘর্ষের সময় পৌর সদরের লোটাস চত্বর ও আশপাশের এলাকার স্থাপনা, বিএনপির অফিসসহ বিভিন্ন দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়। একটি মোটরসাইকেলসহ ব্যানার ও বেশকিছু ফেস্টুনে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
এছাড়া পুলিশের ছোড়া টিয়ারশেলে নাঙ্গলকোট আরিফুর রহমান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ২৭ শিক্ষার্থীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
সংঘর্ষে বিএনপি কর্মী মাইন উদ্দিন, স্বপন, রাসেল, নুরনবী ও ফরহাদসহ ১০/১৫ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
অপরদিকে আওয়ামী লীগের রুহুল আমিন, সাইফুল ইসলাম, নাজমুল, মাসুদ আলম মিয়াজী, আশিকুর রহমান, ফারুকসহ অন্তত ২০ জন নেতাকর্মী আহত হন। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং কুমিল্লার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সূত্রে জানা গেছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি ও খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তির দাবিতে বুধবার সকালে বিএনপির সাবেক এমপি আবদুল গফুর ভুঁইয়ার নেতৃত্বে উপজেলা বিএনপি পৌর বাজারের খিলা অটোরিকশা স্ট্যান্ডে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ সময় পৌর বাজার অতিক্রম করার সময় আওয়ামী লীগের একটি মিছিলের মুখোমুখি হন তারা। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে অন্তত দুই ঘণ্টা দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে বিএনপির সাবেক এমপি আবদুল গফুর ভূঁইয়া বলেন, বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে চলে যাওয়ার পথে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা আমাদের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। এতে আমাদের প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। আহতদের মধ্যে গুরুতর অন্তত ২০ জনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ছাদেক হোসেন ভূঁইয়া বলেন, বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল গফুর ভূঁইয়ার নেতৃত্বে নাঙ্গলকোটকে অশান্ত করে ব্যাপক তাণ্ডবলীলা চালানো হয়। তবে তার দাবি, সংঘর্ষের ঘটনায় তাদের কোনো নেতাকর্মী আহত হয়নি।
কুমিল্লা পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান বলেন, পূর্ব অনুমতি ছাড়া বিএনপি সমাবেশ করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে। তারা বিনা উস্কানিতে পুলিশের ওপর হামলা চালান এবং পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করেন। হামলায় থানার ওসিসহ চারজন পুলিশ সদস্য আহত হন।
আপনার মতামত লিখুন :