নিজস্ব প্রতিবেদক ->>
লাঞ্চ করার টাকা চেয়েছেন সাংবাদিকরা এমন অভিযোগ এনে গাজীপুরের কালীগঞ্জে ৫ সাংবাদিক কে ভ্রাম্যমাণ আদালতে মাধ্যমে ৩ মাসের জেল এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ১৫ দিনের জেল দেন কালীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাফছা নাদিয়া।
তবে বিষয়টির সুষ্ঠ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা- (জেএসএস) কেন্দ্রীয় কমিটি।
এক বার্তায় সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে জানানো হয়, একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ৫ জন সাংবাদিক খাবারের টাকার জন্য যাবেন এটা রহস্যজনক। আবার যিনি বাদী তিনিই বিচারক বিষয়টি সংগঠনটির কাছে ঘোলাটে মনে হওয়ায় তারা গাজীপুরের জেলা প্রশাসকের কাছে ঘটনার সুষ্ঠ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
অন্যদিকে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ৫ সাংবাদিকে “কথিত”,”ভূয়া” শব্দ ব্যবহারেরও নিন্দা জানিয়েছে সংগঠনটি।
জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা ( জেএসএস) জানিয়েছেন যেহেতু তাদের কাছে পত্রিকা কর্তৃপক্ষের দেয়া পরিচয়পত্র রয়েছে সেক্ষেত্রে তাদের নামের সাথে এসব শব্দ ব্যবহার নিন্দনীয়। যেখানে তারা এই শাস্তির বিরুদ্ধে আপিলের সুযোগ পাচ্ছে। তাছাড়া বাংলাদেশে এখনো সাংবাদিকতায় এমন কোনো মাপকাঠি হয়নি যার ভিত্তিতে পেশায় নিয়োজিত কাউকে ভূয়া বা কথিত সাংবাদিক বলা যায়। সংগঠনটির নেতৃবৃন্দরা আরও বলেন, এদেশে ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকেও মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মতো ঘটনা অতীতে ঘটেছে।
মোবাইল কোর্ট আইন-২০০৯ এর ১৪ ধারার সমালোচনা করেন সংগঠনটি। যেখানে বলা আছে অত্র আইনের ১৪ ধারা অনুসারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ভূলে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকারী এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট বা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় জড়িত কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা করতে পারেন না।
আপনার মতামত লিখুন :