তাহিরপুরে পণতীর্থে গঙ্গস্নানকে ঘিরে লাখো ভক্তদের মিলনমেলা
প্রকাশের সময় : মার্চ ৩০, ২০২২, ৭:২২ অপরাহ্ন /
১৪২
শাহ আলম ->>
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তের যাদুকাটা নদীতে পণাতীর্থে সনাতন ধর্মের আধ্যাত্মিক সাধকের লক্ষাধিক ভক্তবৃন্দের গঙ্গাস্নানকে ঘিরে মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। মহাপ্রভুর রাজারগাও লাউড় নবগ্রামের যাদুকাটা নদীর তীরে এবছর সনাতন ধর্মবলম্বীদের বৃহৎ গঙ্গাস্নানের শুভ সময় ছিল মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) বিকাল ৩টা ৩ মিনিট থেকে বুধবার (৩০ মার্চ) সকাল ১১টা ২৩ মিনিট পর্যন্ত।
বৃহৎ এই গঙ্গস্নানকে ঘিরে যাদুকাটা নদীর তীরে মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশীতে পুণ্যস্নানের জন্য লক্ষাধিক মানুষের উপচেপড়া ভিড় জমে উঠেছে। মহাপ্রভুর আখড়াবাড়ী, রাজারগাও লাউড় নবগ্রাম এবং বালুরচরে মঙ্গলআরতি, ভজন, লীলাকীর্তন, বৈদিক নাটক, গঙ্গাপূজাসহ ধর্মীয় আলোচনায় মেতে উঠেছেন ভক্তরা। বালুরচরে বারুনী মেলায় বসে রয়েছেন বিভিন্ন রকমের দোকানীরা।ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে আসা শীলারানী বলেন, গঙ্গাস্নানে এতো মানুষ এর আগে কখনও দেখিনি। গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর দ্বিগুণ মানুষ হয়েছে গঙ্গাস্নানে।সূত্রে জানা যায়, ১৫১৬ খ্রিস্টাব্দের দিকে পণতীর্থের সূচনা করেন শ্রীমান অদ্বৈত আচার্য্য প্রভু। মানুষ তাঁকে গৌরআনা ঠাকুর বলে জানেন। তাঁর জন্মস্থান তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের নবগ্রামে। নদী ভাঙনে নবগ্রাম আজ বিলীন। সে সময় নব গ্রামের অবস্থান ছিল লাউড় রাজ্যের লাউড়েরগড় এলাকায়। বর্তমানে মন্দির গড়ে উঠেছে যাদুকাটা নদীর তীরবর্তী লাউড়েরগড়ের পার্শ্ববর্তী রাজারগাঁও গ্রামে।
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে গেল দুই বছর গঙ্গাস্নানকে ঘিরে কোন উৎসব আয়োজিত হয়নি। করোনাকালের বিধিনিষেধ শেষে এ বছর তাই বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় সনাতন ধর্মালম্বীরা জড়ো হচ্ছেন এখানে।
আপনার মতামত লিখুন :