ArabicBengaliEnglishHindi

নাম আছে নদী নয়,নাম তার বারনই


প্রকাশের সময় : মার্চ ২০, ২০২২, ৭:০০ অপরাহ্ন / ৩৬০
নাম আছে নদী নয়,নাম তার বারনই

সৈয়দ আ: হালিম ->>
সহস্র বছর ধরে রাজশাহী- নওগাঁর হিন্না ও বিলকুমারী বিলের ওপর দিয়ে শিবনদী নামে প্রবাহিত হয়ে মোহনপুর, পবা ও বাগমারা উপজেলায় এসে নদীটি নাম নিয়েছে বারনই। শিরোনাম দেখেই বুঝা যায় সে আজ আর নদী নয়।

রাজশাহী সিটিকর্পোরেশন ও বিসিক শিল্প এলাকার বিষাক্ত বর্জ্য নিষ্কাশনের নালায় পরিনত হয়েছে অতি প্রাচীন ও খুবই গুরুত্বপূর্ণ এই নদীটি। আবহমান কাল থেকে এই নদী হাজারো মানুষের জীবিকার এক মাত্র আশ্রয় স্থল। অথচ আজ প্রায় শত কিলোমিটার ধরে শুধুই দূষণ। যে দূষণে শুধু নদী নয়, মানুষের জীবন পর্যন্ত আজ বিপন্ন।হাজার হাজার জেলেরা আজ অন্ন হীন, সহায় হীন।

উক্ত দূষণে মাছ তো দুরের কথা কোনো অনুজীব পর্যন্ত সেখানে জন্মায় না। আর সেই বিষাক্ত পানি সেচ সহ অন্নান্য গৃহস্থালির কাজে ব্যবহারের কথা তো বলায় বাহুল্য। তবু মানুষ অনোন্যপায় হয়ে তা ব্যবহার করে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরণের মারাক্তক রোগে আক্রান্ত হয়। এ যেন মরার উপর খাড়া। এ গেল এক সমস্যা। অন্য দিকে, দীর্ঘদিন ধরে কোনো সংস্কার না হওয়ায় নদীটি তার নাব্যতা একে বারে হারিয়ে ফেলেছে।

যার কারনে বর্ষা মৌসুমে দুই ধার প্লাবিত হয়ে মর্মান্তিক বন্যা দেখা দেয়। কৃষি প্রধান উপজেলায় হাজার হজার একর জমির ফসল নষ্ট হয়। এই সকল বিষয় উক্ত উপজেলা গুলোর প্রতি বছরেরই চিত্র। কিন্তু এ সব দেখার যেন কেউ নেই। এই ভাবে কৃষক- জেলের প্রাণসম একটি নদী, যে মরে যাচ্ছে তাতে কারো কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। নদীর দু’পাড়ের মানুষের শতকরা নব্বই ভাগই অশিক্ষিত, অসহায় এবং নিম্ন আয়ের।

শত কষ্টেও তারা নিশ্চুপ, তারা জানে না কোথায় গেলে এই মর্মান্তিক যন্ত্রনার অবসান হবে। অত্র প্রতিবেদক নওহাটা ও বিদিরপুরের অনেক জেলে-কৃষকের সাথে কথা বলে জেনেছে তাদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগের কথা।কিন্তু আজ অবধি তার কোনোরূপ সুফল পাওয়া যায়নি।

বর্তমানে এই প্রতিবেদক মোহনপুর উপজেলার ৪নং মৌগাছি ই.উ.পি র চেয়ারম্যান জনাব আল-আমিন বিশ্বাসের দৃষ্টি আকর্ষন করলে তিনি প্রতিশ্রুতি দেন যে এই বিষয়ে পবা-মোহনপুর আসনের এমপি মহোদয়ের সাথে আলোচনা করবেন।