ArabicBengaliEnglishHindi

বিরামপুরে পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের


প্রকাশের সময় : মার্চ ২২, ২০২২, ৮:০৭ অপরাহ্ন / ৭৯
বিরামপুরে পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের

দিনাজপুর প্রতিনিধি ->>
মানুষের জিবীকা নির্বাহের জন্য যা প্রয়োজন খাদ্য শষ্য সেই খাদ্য শষ্য ভান্ডার হিসেবে পরিচিত দিনাজপুর জেলা এই জেলার অধিকাংশ জমিতে চাষিরা বিভিন্ন ফসল চাষাবাদ করে, প্রধান শস্য হিসেবে ধানের আবাদ হলেও বর্তমানে বাড়ছে মসলা জাতীয় ফসলের আবাদ পেঁয়াজ।

গত কয়েক বছর ধরে দামের ঊর্ধ্বগতি পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ বাড়াচ্ছে কৃষকের। ব্যাপক আকারে না হলেও উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে এর চাষ। এর মধ্যে কৃষি অধিদফতরের উদ্যোগে এ উপজেলার ৩০ বিঘা জমিতে করা হয়েছে এই পেঁয়াজের চাষ।

কৃষি অধিদফতর থেকে সরবরাহ করা বীজে চাষ হয় এসব জমিতে। বিরামপুর পৌর সভার ভবানীপুর (মুন্সিপাড়া) ফজলে হোসেন নামের এক কৃষক বলেন, কৃষি অফিস থেকে বীজ দিয়েছে। এক বিঘা জমিতে পেঁয়াজের চাষ করেছি।

কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা আমাদের বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন। সেই মোতাবেক আমরা পরিচর্যা করেছি। আশা করছি ভালো ফসল ঘরে তুলতে পারবো। শীতকালীন রবিশষ্য চাষ করেন একই গ্রামের আবু বকর সিদ্দিক নামের এক চাষী এসব রবি শস্যের চারার ফাঁকে ফাঁকে পেঁয়াজ চাষ করেছেন তিনি। কিন্তু তেমন ফলন না হওয়ায় পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ বেড়েছে তার।

তিনি বলেন, ব্যাপক আকারে কখনও পেঁয়াজ চাষ করা হয়নি। কৃষি অফিসের পরামর্শে এবার কিছু চাষ করেছি ফলন বেশি হলে তা আগামীতে বেশি বেশি চাষ করব। পেঁয়াজকে সাধারণত ঠান্ডা জলবায়ু উপযোগী ফসল বলা হয়। বর্তমানে গ্রীষ্মকালেও এই ফসলের চাষ হচ্ছে। উর্বর মাটি এবং সেচ ও নিষ্কাশন সুবিধাযুক্ত জমিতে পেঁয়াজ চাষ করতে হয়।

১৫-২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা পেঁয়াজের জন্য সর্বাপেক্ষা উপযোগী। অধিক এঁটেল মাটিতে পেঁয়াজের চাষ না হলেও দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ মাটিতে পেঁয়াজ ভালো হয়। বিরামপুর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নিকসন চন্দ্র পাল বলেন, এই উপজেলায় মসলা জাতীয় ফলন চাষে তেমন আগ্রহী ছিলেন না কৃষকরা। কিন্তু এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটছে। পেঁয়াজের দাম পাওয়ায় এ চাষের দিকে ঝুঁকছে কৃষক। পাশাপাশি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরেরও কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যা থেকে কৃষকরা আগ্রহী হচ্ছেন।

গত বছর এই উপজেলায় ১শ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছিল এবার তা ছাড়িয়ে ১শ ৫ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। এতে প্রতি হেক্টর জমিতে ফলন পেয়েছি ১০ থেকে ১২ টন। আশা করছি, এবারও ভালো ফলন পাবো। তাছাড়া ৩০ জন চাষিকে ৩০ বিঘা জমির জন্য সার বীজ দেওয়া হয়েছে এবং প্রতিনিয়ত বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।