শরীয়তপুর প্রতিনিধি ->>
শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার নাওডোবা ইউনিয়নের দেলোয়ার মুন্সী নামে এক ব্যবসায়ীকে মিথ্যা প্রতারণায় ফাঁসানোর পাঁয়তারার অভিযোগ মিরাজের বিরুদ্ধে।
মিরাজ শশুড় বাড়িতে থাকেন। নিজেকে একজন সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে থাকেন তিনি।মুলত তিনি কোন মিডিয়ার সঙ্গে জড়িত নেই। জানা যায়, দেলোয়ার মুন্সির ছোট ভাই বেলায়েত মুন্সিকে কানাডা পাঠানোর জন্য ১৭ লক্ষ টাকায় চুক্তি হয় মিরাজের সঙ্গে। এলাকার লোকজনের সামনে গত ১৩/৭/২০২০ তারিখ পার্সপোট সহ ২ লক্ষ টাকা, পরবর্তীতে একসঙ্গে ৪ লক্ষ পরবর্তীতে ১লক্ষ সর্বমোট ৭ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক মিরাজ। চুক্তিতে তিন মাসের মধ্যে বিদেশে পাঠানোর কথা থাকলেও দুই বৎসর কেটে গেলেও বেলায়েত মুন্সীকে কানাডা পাঠায়নি প্রতারক মিরাজ। এলাকার সালিশ করে টাকা না পেয়ে আইনের আশ্রয় নেয় দেলোয়ার মুন্সী।
টাকা ফেরত না দিতে মিরাজও থেমে থাকেনি। শ্যালক আলী মুন্সিকে নিয়ে এবং প্রতারক চক্রের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে এঁকেছে নতুন ফাঁদ। সাজিয়েছে মিথ্যা ধর্ষণের অভিযোগ । যে অভিযোগের বাদীকে তার ঠিকানায় খুঁজে পাওয়া যায় নি।
শিল্পী বেগম বাদি হয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন , মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ও শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক বরাবর। কিন্তু আসলে কে এই শিল্পী? শিল্পী নামের কোন বাদীর অস্তিত্ব পায়নি সাংবাদিকরা। অভিযোগে উল্লেখ ছিল, শিল্পী মনোয়ারা বেগম (৫০) এর নাতনী, নানির সঙ্গে মাদারীপুর জেলা প্রশাসক এর অফিসে ভুমি অধিগ্রহণের টাকা উত্তোলন কাজে গেলে সার্ভেয়ার মাইনুল দেলোয়ার মুন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন, তাহলে টাকা দ্রুত পাওয়া যাবে, ডিসি অফিসের কাজ শেষে হলে মাইনুল শিল্পীকে বাহিরে অপেক্ষা করতে বলে। শিল্পীকে মাইনুল বাসায় নিয়ে যায় পরবর্তীতে খাবার পানির সঙ্গে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে অচেতন করে সার্ভেয়ার মাইনুল সার্ভেয়ার বাদল ও দেলোয়ার মুন্সি সারারাত শিল্পী কে ধর্ষণ করে।
অভিযোগ পত্রে একটি মোবাইল নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে যার কোন রেজিষ্ট্রেশন নাই, শিল্পী অভিযোগে নানির নাম বলেছেন মনোয়ার বেগম। কিন্তু অভিযোগে উল্লেখিত ঠিকানা মতো শিবচরে সন্ধান মিলে মনোয়ারা বেগমের, তিনি বলেন, আমার শিল্পী নামে কোন নাতিন নেই, আর দেলোয়ার মুন্সি নামে আমি কাউকে চিনিনা এগুলো সবি মিথ্যে।
দেলোয়ার মুন্সি বলেন, আমি এই মিথ্যা অভিযোগের সঠিক তদন্ত করে বিচারের দাবি জানাই। মিরাজ একজন ধোঁকাবাজ,আমি টাকা না পেয়ে আদালতে অভিযোগ দায়ের করলে মিরাজ আমাকে মৃত্যুর হুমকি দেয় বলে তোকে এলাকায় থাকতে দেবনা। তোকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দিবো। আমার কাছে টাকা চাইতে আসবিনা। এবং আমার নামে ফেইসবুকে মিথ্যা অপবাদ ছড়ায়। আমি সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক বিচার দাবি করছি।
মিরাজ,ও শিল্পী দুই নামের ব্যাক্তির সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি দুটি নাম্বার বন্ধ রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :