ArabicBengaliEnglishHindi

শরীয়তপুরে শাকিল হত্যা মামলায় দুই জনের মৃত্যুদণ্ড


প্রকাশের সময় : এপ্রিল ১২, ২০২২, ৭:২৪ অপরাহ্ন / ৯৭
শরীয়তপুরে শাকিল হত্যা মামলায় দুই জনের মৃত্যুদণ্ড
আমির হোসেন, শরীয়তপুর প্রতিনিধি ->>
শরীয়তপুরে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. শাকিল মাদবর (১৫) নামের এক শিক্ষার্থীকে হত্যার মামলায় শাকিব ওরফে বাবু ও ইমরান মোড়ল নামে দুজন আসামিকে ফাঁসির রায় দিয়েছেন। এ ছাড়া এই মামলায় আরো ৪ আসামিকে খালাস দেন আদালত।
মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় বিচারক আব্দুস সালাম খান এ আদেশ দেন।
মো. শাকিল মাদবর জাজিরা উপজেলার পূর্ব নাওডোবা হাজী কালাই মোড়লকান্দির এলাকার সালাম মাদবরের বড় ছেলে। সে অ্যাম্বিশন কিন্ডারগার্টেন অ্যান্ড হাই স্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মিলন রহমান মুরাদ বলেন, আমরা মামলাটি নিয়ে উচ্চ আদালতে যাব।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফিরোজ আহমেদ বলেন, শিশু শাকিল মাদবরের অপহরণ ও হত্যা মামলায় শাকিব ওরফে বাবু ও ইমরান মোড়ল নামের দুই আসামিকে ফাঁসির রায় দিয়েছেন আদালত। এই মামলায় সাতজন আসামি ছিলেন।
তিনি আরো বলেন, আমরা এই মামলায় আংশিকভাবে সন্তুষ্ট। আমি বাদীপক্ষের সঙ্গে কথা বলে উচ্চ আদালতে আপিল করব। এই মামলায় সকল আসামির সম্পৃক্ততা আছে। তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রয়েছে। তাই আমরা উচ্চ আদালতে যাব।
উল্লেখ, ২০২০ সালের ২৫ জুন (বৃহস্পতিবার) বিকালে শাকিল মাদবরকে খেলার কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় অভিযুক্ত সাকিব মাদবর বাবু। পরে সাকিব মাদবর বাবু (২০), আক্তার মাদবর (২৬), সজিব মাঝি (২২), ইমরান মোড়ল (২০), মহসিন হাওলাদার (২৫) ও স্বপন সরদার (৪৫) তাকে অপহরণ করে উপজেলার মোসলেম ঢালী কান্দি গ্রামের বারেক মৃধার বাড়ির পাশে আটকে রাখে। একপর্যায়ে শাকিলের চাচা শাহাজুল ইসলাম মাদবরের কাছে মুঠোফোনে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন তারা। অন্যদিকে শাকিলকে তার পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। মুক্তিপণ না দেওয়ায় শাকিলকে হত্যা করে পদ্মা সেতুসংলগ্ন ওই গ্রামের বারেক মৃধার বাড়ির পাশের বালুর মাঠে, বালু মাটি দিয়ে চাপা দিয়ে লাশ গুম করে রাখে তারা।
আসামি ইমরান মোড়লকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার তথ্যমতে শনিবার (২৭ জুন) ভোরে শাকিলের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তর জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় জাজিরা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন ওই ছাত্রের বাবা সালাম মাদবর। ২৬ জুন (শুক্রবার) অপহরণ ও হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ বাবু ও  ইমরানকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের সাত দিনের পুলিশ রিমান্ড চেয়ে শরীয়তপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।