নিজস্ব প্রতিবদক ->>
বর্তমানে ষড়যন্ত্র চলছে উল্লেখ করে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
আজ রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ আহ্বান জানান। ষড়যন্ত্রের উৎপাটনই শোকাবহ আগস্টের অঙ্গীকার শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাঁচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাঁচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান। সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান ও ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাঁচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আজকে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
ষড়যন্ত্র আজও চলছে, একই লোকদের দিয়েই চলছে। এই ষড়যন্ত্রের প্রতিহত করতে সজাগ থাকতে হবে। ষড়যন্ত্র প্রতিহত না করার খেসারত কী দিতে হয় এটি আমরা এখন জানি। পঁচাত্তরে যদি বঙ্গবন্ধুকে আমরা না হারাতাম তাহলে বাংলাদেশ এ অন্ধকারে পতিত হতো না। এ সময় সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন করেনি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের এমন দাবির কড়া সমালোচনা করেন তিনি। আওয়ামী লীগ সরকারে থাকলে ধর্মীয় জাতিগত সংখ্যালঘু নির্যাতনে নিশ্চিতভাবে পৃষ্ঠপোষকতা থাকে না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, প্রতিক্রিয়াশীলদের পৃষ্ঠপোষকতা এ শক্তি করে আসছে। তারা মানবাধিকারের কথা বলে। অথচ ধর্মীয় এবং জাতিগত সংখ্যালঘুদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতন তাদের সময়ে ঘটেছে। এ সামরিক আধা সামরিক সরকার সবসময় নিজেদের সমস্যা এড়াতে সংখ্যালঘুদের নিয়ে দাঙ্গা লাগিয়ে দেওয়ার রীতি অনেকদিন ছিল। সুশীল সমাজকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আমাদের সুশীল সমাজের বিশাল অংশ আজকে মানবতার কথা বলে।
বিভিন্ন দেশ এসে যখন মানবাধিকারের কথা বলে তখন তারা সঙ্গ দেয়। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা বা তার পরিবারকে নির্বংশ করার চেষ্টা সেটি নিয়ে তাদের কথা নেই। ২০০৪ সালে গ্রেনেড হামলা নিয়ে কথা নেই। সে সময় মানবাধিকার কোথায় ছিল? ২০১৩-১৪ সালে পুড়িয়ে মানুষকে হত্যা করা হলো, পঙ্গু করে দেওয়া হলো এতে কারো মানবাধিকার নেই, এটি কারো চোখে পড়ল না। নেতাকর্মীদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এখন যুদ্ধের যে ক্ষেত্র অনেক বিস্তৃত এবং ধরন বদলেছে। এখন সোশ্যাল মিডিয়া এবং সাইবার জগতে চারদিকে যুদ্ধ। আমাদের সেই যুদ্ধ করতে হবে।
সেমিনারে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও কলামিস্ট মেজর নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ (অব.) বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম, দৈনিক বাংলা ও নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকমের ডিরেক্টর মিডিয়া মো. আফিজুর রহমান ও ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বক্তব্য রাখেন।
আপনার মতামত লিখুন :