ArabicBengaliEnglishHindi

সড়কের মাঝখানে বাঁশের বেড়া ও পিলার গেড়ে সরকারি রাস্তা নির্মাণে বাঁধা


প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ২২, ২০২২, ১১:২৮ অপরাহ্ন / ১৫০
সড়কের মাঝখানে বাঁশের বেড়া ও পিলার গেড়ে সরকারি রাস্তা নির্মাণে বাঁধা
শরীয়তপুর, প্রতিনিধি ->>
শরীয়তপুরের সদর  পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড উত্তর বালুচড়া গ্রামে সড়কের মাঝখানে বাঁশের বেড়া ও পিলার গেড়ে সরকারি রাস্তা নির্মাণে বাঁধা দেয়ার অভিযাগ পাওয়া গেছে। এতে চরম জন দুর্ভোগের সৃস্টি হয়েছে। তবে মেয়র বলেছেন আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শরীয়তপুর পৌরসভা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শরীয়তপুর পৌরসভার নিজস্ব অর্থায়নে উত্তর বালুচড়া লিটন সরদারের বাড়ি থেকে রশিদ সরদারের বাড়ি পর্যন্ত ৬শ ফিট দীর্ঘ ও ৮ ফিট প্রস্থ ইটের সলিং রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু হয়।
ঠিকাদার ফরহাদ ঢালী কাজ শুরু করার পর এলাকার নারায়ন চন্দ্রদের মেয়ে, ছেলে গংরা বাধা দেয় এবং এতে রাস্তা নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায় বলে জানা গেছে।
তারা রাস্তার মাঝখানে বাঁশের বেড়া নির্মাণ ও পিলার গেড়ে সড়ক নির্মাণে বাঁধা প্রধান করে। এতে এলাকার সর্বসাধারণের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি চরম জন দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে।
পৌরসভার উক্ত কাজের ঠিকাদার ফরহাদ ঢালী বলেন, পৌরসভার অর্থায়নে উত্তর বালুচড়া গ্রাম ৬শ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৮ ফুট প্রস্থ ইটের সলিং রাস্তা নির্মাণ কাজ শুরু করি। ইঞ্জিনিয়ার রাস্তা মেপে আমাকে যেভাব বুঝিয়ে দিয়েছেন আমি সেভাবেই কাজ শুরু করেছি।
অর্ধেক পরিমাণ কাজ শেষ করার পর এলাকার সুজাতা রানী দে,এবং তার ভাই বোনেরা তাদের যায়গা দাবি করে রাস্তার মাঝখানে বাঁশের বেড়া নির্মাণ ও পিলার গেড়ে রাস্তা নির্মাণে বাঁধা প্রদান করে।এতে রাস্তার কাজ বন্ধ হয়ে যায়। তবে আমি বিষয়টি পৌরসভা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।তারা ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন।
 নারায়ন চন্দ্র দের ছোট মেয়ে চন্দ্রনা দে বলেন, আমরা রাস্তা নির্মাণের জন্য দুই ফিট জায়গা দিয়েছি এবং পুরো জায়গায় দিতাম কিন্তু এখানে আমাদের পারিবারিক শশ্মান তাই এর বেশি জায়গা দেওয়া আমাদের পক্ষে একা সম্ভব না। তাই আমাদের জায়গায় আমরা বাঁশের বেড়া দিয়েছি।
 মামুন আহমেদের স্ত্রী আফরোজা বেগম বলেন, রাস্তায় বাঁশের বেড়া দিয়ে কাজ বন্ধ করায় আমরা চরম ভোগান্তির শিকার হয়েছি।কারন এখান দিয়ে কোন অসুস্থ রোগী আনা নেয়া করা যায় না।পাশাপাশি হাট বাজার করে গা্রি নিয়ে আসতে পারি না।এ ছাড়াও বাচ্চার স্কুলে যেতে দেরী হয়ে যায় গাড়ি আসতে না পারায়।তাই আমরা চাই এর সঠিক তদন্ত করে রাস্তা টি দ্রুত সম্পূর্ণ করে দেয়া হোক।
এ বিষয়ে পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট পারভেজ রহমান জন বলেন, জানতে পেরেছি উত্তর বালুচড়া গ্রামে পৌরসভার অর্থায়নে সড়ক নির্মাণে এলাকার কিছু ব্যক্তি সড়কের মাঝখান দিয়ে বাঁশের বেড়া দিয়ে বাঁধা প্রদান করেছেন। এ বিষয়ে সবাইকে নিয়ে বসে শীঘ্রই আলোচনা করে রাস্তার সঠিক সমাধান করে দেয়া হবে।