নিজস্ব প্রতিনিধি ->>
পদ্মা সেতু হলেও বিলুপ্ত হচ্ছে না নৌপথ। শিমুলিয়া-বাংলাবাজার-মাঝিরকান্দি ও পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ায় ফেরি চলাচল সীমিত হলেও নতুন করে ৮টি রুটে চলবে নৌযান। রুট সার্ভে শেষে উত্তরের জেলাগুলোয় নতুন ফেরি চালু ও দক্ষিণাঞ্চলের ৩টি রুটে ফেরির সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)। সংস্থাটির চেয়ারম্যান জানান, পদ্মায় চলাচলকারী ফেরিগুলো স্থানান্তর করা হবে উপকূলীয় জেলা আর প্রত্যন্ত দ্বীপে।
পদ্মা নদী ঘিরে বর্তমানে ৬টি রুটে চলছে ফেরি। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুটে প্রতিদিন গড়ে ৭ হাজারের বেশি গাড়ি ফেরি পারাপার হয়। যেখানে বিআইডব্লিউটিসির দৈনিক আয় ৮০ লাখ টাকা। শিমুলিয়া-বাংলাবাজার-শিমুলিয়া-মাঝিরকান্দি রুটে দিনে আড়াই হাজার গাড়ি পারাপারের বিপরীতে আয় ১২-১৫ লাখ টাকা। তবে ২৫ জুন পদ্মা সেতু চালুর পর এসব নৌরুটে স্বাভাবিকভাবেই কমবে ফেরিতে গাড়ি পারাপার। সেতুর একেবারে নিচ দিয়ে চলার কারণে বন্ধ হতে পারে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুট। এমন অবস্থায় নৌযানগুলোর গন্তব্য কী হবে?
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন, বিআইডব্লিউটিসি রুট সার্ভে শেষে নতুন ৮টি রুটে ফেরি চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যার মধ্যে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুট থেকে চারটি ফেরি সরিয়ে আরিচা-কাজিরহাট ও চাঁদপুর-শরীয়তপুর রুটে ফেরির সংখ্যা বাড়ানো হবে। ফেরি সার্ভিস শুরু হবে মনপুরা-তজুমদ্দিন, পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী রুটে। উত্তরের জেলাগুলো, দক্ষিণাঞ্চল আর প্রত্যন্ত দ্বীপগুলোর নদীপথে সংযোগ তৈরি হবে এই রুটগুলো দিয়ে।
বিআইডব্লিউটিসি চেয়ারম্যান আহমদ শামীম আল রাজী বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আমরা ৭-৮টি রুট বের করেছি। যেখানে আমাদের ফেরিগুলো ভালোভাবে চলতে পারে। উপকূল এলাকায় মানুষের চলাচল বিস্তৃত করা জন্য আমরা একটা স্টাডি করছি।’
বিআইডব্লিউটিসি জানিয়েছে, রৌমারী-চিলমারী নৌরুট চালু হলে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে জামালপুর, শেরপুর, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, সিলেট ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার যোগাযোগের ৮০ কিলোমিটার দূরত্ব কমবে। আরিচা-খয়েরচর রুটে ফেরি চালু হলে পাবনা ও ঈশ্বরদী থেকে যমুনা সেতু হয়ে যাতায়াতের দূরত্ব কমবে ৮০-৯০ কিলোমিটার।
চট্টগ্রাম-সন্দ্বীপ ও নোয়াখালী-হাতিয়া রুটে ফেরি চলাচল চালু হবে আসছে শীত মৌসুমে। বর্তমানে বিআইডব্লিউটিসির বহরে ৫১টি ফেরি রয়েছে। চলতি বছরেই যুক্ত হচ্ছে আরও ১২টি ফেরি।
এদিকে গত ২৫ মে বিআইডব্লিউটিএ ও বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যানরা সাগরকূলের বিচ্ছিন্ন উপজেলা মনপুরার সঙ্গে জেলা শহর ভোলা ও পাশের জেলা নোয়াখালীর সঙ্গে ফেরি চলাচলের সম্ভাব্যতা যাচাই করেন।
পরে এক সুধী সমাবেশে বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক ও বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান আহমদ শামীম আল রাজী বিচ্ছিন্ন মনপুরাকে ফেরির মাধ্যমে সড়ক যোগাযোগের অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন।
আপনার মতামত লিখুন :