ArabicBengaliEnglishHindi

নীলফামারীতে মহানবী (সাঃ) কে কটুক্তি: অভিযুক্ত শিক্ষক সাময়িক বরখাস্ত


প্রকাশের সময় : জুন ১৮, ২০২২, ৮:৩১ অপরাহ্ন / ১০১
নীলফামারীতে মহানবী (সাঃ) কে কটুক্তি: অভিযুক্ত শিক্ষক সাময়িক বরখাস্ত

জিকে রউফ নীলফামারী ->>
নীলফামারী সদর উপজেলার ককই বড়গাছা দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ঈশ্বর চন্দ্র রায় কর্তৃক মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে কটুক্তির ঘটনায় এলাকাবাসীর ক্ষোভের মুখে পড়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়েছে।

শনিবার (১৮ই জুন) সকাল ১০টায় এলাকাবাসীর উদ্যোগে মহানবী (সাঃ) কে কটুক্তির প্রতিবাদে মানববন্ধনে উত্তেজিত জনতার ক্ষোভের মুখে ককই বড়গাছা দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গণপতি রায় ম্যানেজিং কমিটির জরুরি সভা ডেকে অভিযুক্ত শিক্ষক ঈশ্বর চন্দ্রকে সাময়িক বরখাস্ত করেন।

শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (১৬ই জুন) স্কুলের দশম শ্রেণির কৃষি শিক্ষা পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থীরা জোরে কথা বললে বিদ্যালয়টির সমাজ বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক ঈশ্বর চন্দ্র রায় তাদের বলেন, ‘তোমাদের শেষ নবী মোহাম্মদ ছিলেন শয়তান। তোমরাও তোমাদের নবীর মতো শয়তানি শুরু করেছো।’ এ কথার প্রতিবাদ করায় ওই ক্লাসের শিক্ষার্থী মোছা. সাবিকুন নাহার ও সাকিল আহমেদকে রুমে ডেকে নিয়ে ভয়ভীতি দেখান তিনি। পরে ঘটনাটি জানাজানি হলে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এলাকাবাসী।

এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার বিদ্যালয় চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেন এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। মানববন্ধন ও বিক্ষোভ চলাকালীন অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

মানববন্ধনে অংশ নেয়া লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘ঘটনাটি মেনে নেয়ার মতো নয়। আমরা ওই শিক্ষকের উপযুক্ত বিচারের দাবি জানাচ্ছি সরকারের কাছে।’

টুপামারী ফাজিল মাদ্রাসার প্রভাষক খলিলুর রহমান বলেন, শিক্ষকের উপযুক্ত বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। আমরা শিক্ষকের গ্রেফতার ও বিচার চাই। গ্রেফতার করা না হলে আরো কঠিন আন্দোলনে যাবো।’

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গণপতি রায় বলেন, ‘ঘটনা শোনার পর সেদিনই শিক্ষক ইশ্বর চন্দ্র রায়কে আমার অফিসে ডেকে নিয়ে আসি। তখন তিনি ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চান। শনিবার মানববন্ধন হওয়ার পর সাময়িক বরখাস্ত করা হয় তাকে।’

লক্ষীচাপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান বলেন, ‘ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। মানববন্ধনে আমিও ছিলাম, তবে ওই শিক্ষকের উপযুক্ত শাস্তির প্রয়োজন রয়েছে।’

এবিষয়ে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউপ বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। সবাইকে শান্ত থাকতে বলেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’