ArabicBengaliEnglishHindi

কালিয়াকৈরে মেম্বারের বিরুদ্ধে রড চুরির অভিযোগ


প্রকাশের সময় : অগাস্ট ২২, ২০২২, ৮:১৯ অপরাহ্ন / ৪৯
কালিয়াকৈরে মেম্বারের বিরুদ্ধে রড চুরির অভিযোগ

কালিয়াকৈর(গাজীপুর) প্রতিনিধি ->>
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে এক ইউপি সদস্যের (মেম্বার) বিরুদ্ধে অভিনব কায়দায় প্রায় দেড় লাখ টাকার রড চুরির পর নিরিহ তিন ভ্যান চালককে ফাসানোর চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে গতকাল সোমবার পর্যন্ত এলাকায় নানা আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সচেতন মহলের লোকজন।

 

মসজিদ নির্মাণ কাজে আর্থিক সাহায্যের আবেদন

 

এলাকাবাসী, বাজার কমিটি ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার আটাবহ ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) আসাদুজ্জামান খান ও তার বড় ভাই মাসুদ খানের বিরুদ্ধে অভিনব কায়দায় রড চুরির অভিযোগ উঠেছে।

তারা দুই ভাই মিলে সাভারের আশুলিয়া থানার বাড়ইপাড়া এলাকায় একটি ভবন নির্মাণ করছেন। গত ৪, ৭, ৮ ও ৯ আগস্ট ওই নির্মাণ কাজের জন্য তিনটি ভ্যান যোগে উপজেলার জালশুকা বাজারের মেসার্স মন্ডল এন্টারপ্রাইজ থেকে বাকিতে রড নেন ওই মেম্বার ও তার বড় ভাই। গত ১১ আগস্ট হিসাব-নিকাশকালে ওই ৪ আগস্ট নেয়া ১ হাজার ২৪০ কেজি রডের বিষয়টি অস্বীকার করেন তারা দু-ভাই। যার বাজার মূল্য প্রায় দেড় লাখ টাকা। এক পর্যায় তারা দুজনে চুরির অভিযোগটি রড বহনকারী ভ্যান চালক বাদশা মিয়া, আমিনুর ও আব্দুর শাজাহানের উপর চাপিয়ে দিয়ে ফাসানোর চেষ্টা চালায়। চোর অপবাদ দিয়ে ওই নিরিহ তিন ভ্যান চালককে নানা ধরনের হুমকি-দমকি দেন ওই মেম্বার।

এরপর চোরের মিথ্যা অপবাদ মাথায় নিয়ে ১০ দিন মহাবিপদে কাটান নিরিহ ভ্যান চালকরা। গত ২০ আগস্ট ওই নির্মাণাধীন ভবনের পাশের এক মুদি দোকানের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে মেম্বার ও তার ভাইয়ের রড চুরির ঘটনাটি সনাক্ত হয়। ওই সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। পরে তিনি রাঁতের আধাঁরে ওই মেম্বার এক ভ্যান চালকের কাছে ক্ষমা চান। মেম্বার ও তার ভাই চুরি করে উল্টো নিরিহ ভ্যান চালকদের ফাসানোর চেষ্টার বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে গতকাল সোমবার পর্যন্ত নানা আলোচনা- সমালোচনার ঝড় উঠে। তবে স্থানীয় সকল ভ্যান চালকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এদিকে একজন জনপ্রতিনিধির এমন কার্মকান্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয় সচেতন মহলের লোকজন। ওই তিন ভ্যান চালক বাদশা মিয়া, আমিনুর ইসলাম ও আব্দুর শাজাহান জানান, আসাদ মেম্বার প্রায় দেড় লাখ টাকার রড চুরি করে আমাগো ফাসানোর চেষ্টা করেছিল। আমাগো চোরের অপবাদ ও হুমকি দিয়ে তিনি ওই রড আত্বসাতের চেষ্টার করেছিলেন। পরে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ধরা পড়লে রাঁতের আধাঁরে ক্ষমা চাইতে আসেন।

রড চুরি বিষয়টি অস্বীকার করে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য (মেম্বার) আসাদুজ্জামান খান জানান, একটা ভুল বুঝাবুঝি হয়েছিল। বিষয়টি এখন সমাধান হয়ে গেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ জানান, রড চুরির বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।