ArabicBengaliEnglishHindi

পুঠিয়ায় সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়িদের অত্যাচারে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ


প্রকাশের সময় : অক্টোবর ৩, ২০২২, ১:৫৪ অপরাহ্ন / ১৯৩
পুঠিয়ায় সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়িদের অত্যাচারে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ

রাজশাহী প্রতিনিধি ->>
রাজশাহী পুঠিয়ায় সাধনপুর এলাকায় ৩০ জন সন্ত্রাসী মাদক বিক্রেতা বাহিনীর অত্যাচারে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। এই বাহিনীকে স্থানীয় রাজনৈতিকভাবে পৃষ্ঠপোষতা করা হচ্ছে।

এদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পাচ্ছে না। থানা পুলিশ বলছে, সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষরা আমাদের নিকটে কেউ অভিযোগ করে না। জানা গেছে, ২৮ সেপ্টেম্বর সাধনপুর হাইস্কুল এ- কলেজ চলাকালীন সময়ে পথিক মাহমুদ পার্থ নামের এক ছাত্র জানালার কাঁচ ভাংচুর করে। ওই ছাত্র বিরুদ্ধে শিক্ষকরা অভিযোগ করায়, বাবা ক্ষিপ্ত হয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক ফিরোজ মান্ননসহ কয়েকজন শিক্ষকে পিটিয়ে আহত করেছে।

ওই দিন থানায় অভিযোগ করলে, ছাত্রের বাবা রনি মাহমুদকে আটক করেছে। রনি সাধনপুর এলাকা সন্ত্রাসীবাহিনীর উন্নতম সদস্য। এই সন্ত্রাসী গ্রুপে ২৫-৩০ জন সদস্য রয়েছে। গ্রুপের সদস্যরা সবাই মাদকাসক্ত এবং মাদক বিক্রেতা। ২৯ সেপ্টেম্বর সাধনপুর এলাকার ফাঁকা স্থানে জামাল নামের এক ভ্যানচালকের নিকট ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। সে টাকা না দিতে পাড়ায়,তার ভ্যানগাড়িটি কেড়ে নেয়। স্থানীয় সন্ত্রাসী গ্রুপটি,র্দীঘদিন ধরে সাধনপুর এলাকায় প্রকাশ্যে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষতায় চাঁদাবাজি সন্ত্রাসী মাদক বিক্রি করে আসছে। এদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস কেউ পায় না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাধনপুর এলাকার একাধিক ব্যক্তিরা জানায়, সকাল হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই সন্ত্রাসী গ্রুপটি এমন কোনো খারাপ কাজ নাই, যে তারা করে না। এই গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন শিলমাড়িয়া এলাকার একজন গনপ্রতিনিধির ঘনিষ্ট স্বজন। এদের মধ্যে আবার নিষিদ্ধ দলের সদস্য রয়েছেন।

সাধনপুর পঙ্গু শিশু নিকেতন এলাকা অপরিচিত কোনো ব্যক্তি আসলে তাদের বিভিন্ন কায়দায় জিম্মি করে টাকা সোনার গহনা কেড়ে নিয়ে তাড়িয়ে দেয়। গ্রুপের সদস্যরা পুরো শিলমাড়িয়া ইউনিয়ন এলাকায় কোনো প্রকার পারিবারিক ঝামেলা হলে, এই গ্রুপের সদস্যরা টাকার বিনিময়ে তা সমাধান করে দেয়। গভীর রাত পর্যন্ত নদীর পার্ক এলাকায় নারি ব্যবসা, মাদক খাওয়া এবং বিক্রি করে থাকেন। পুঠিয়া সদর হতে সাধনপুর বাজার ১৮ কিমি দুরত্ব। সন্ত্রাসী এলাকা হওয়ার কারণে, সাধনপুর বাজারে একটি পুলিশ ফাঁড়ি রয়েছে। তারপরও সন্ত্রাসী বাহিনীর তৎপরতা বন্ধ হচ্ছে না।

এ ব্যাপারে থানার ওসি সোহরাওয়াদী হোসেন বলেন, শিক্ষক পিটানো অপরাধে তিনজন আসামি আটক করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। আগামী কয়েকদিনের ভেতরে সাধনপুর এলাকায় কোনো সন্ত্রাসী বাহিনী, মাদক বিক্রেতারা থাকবে না। তারপর, এলাকার মানুষরা আমাদের নিকটে কেউ অভিযোগ করে না।