নিজস্ব প্রতিবেদক ->>
আজ ৮ ই আগস্ট ২০২৩ ইং তারিখে রাজধানীর চৌধুরী মলস্থ জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার প্রধান কেন্দ্রীয় কার্যালয় জরুরী মিটিংয়ের আয়োজন করা হয়। উক্ত মিটিংয়ে গত ৭ই আগস্টের এবার সিকিউরিটি আইনের সংশোধনীয় প্রস্তাবে সর্ব সম্মতি ক্রমে নিম্নের প্রস্তাব গৃহীত হয়।
গৃহীত প্রস্তাবে উক্ত আইন প্রসঙ্গে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক,সংগঠনের ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল আইন মন্ত্রীর সঙ্গে মত বিনিময়ে আগ্রহ প্রকাশ করে ।
মানহানির অপরাধে সর্বোচ্চ জরিমানার পরিমাণ ২৫ লক্ষ টাকা যা একজন গণমাধ্যম কর্মীর জন্য অবিবেচনাসুলভ। সাংবাদিকদের জন্য সংবাদ প্রকাশে এটা একটা মানসিক চাপ সৃষ্টি করবে, ফলে স্বাধীন ভাবে গণমাধ্যমকর্মীরা তাদের মত প্রকাশ করতে পারবে না।
মানহানির জন্য দন্ড তুলে শুধু জরিমানা ধার্য করা হয়েছে এবং জামিনযোগ্য করা হয়েছে। আসলে কী এর ফলে এই আইনের অপপ্রয়োগ বন্ধ হবে? আবার জরিমানার টাকা না দিতে পারলে তাকে ৩ মাসের সাজা ভোগ করতে হবে। অধিকাংশ সংবাদকর্মীরা বেতন পান না আবার তাদের জরিমানার বিধানরাখা কতোটা যৌক্তিক? অধিকাংশ সাংবাদিক জরিমানার টাকা দিতে ব্যর্থ হয়ে জেলে যেতে যাবে।
২১ ধারায় সৃজনশীল লেখকদের লেখা এই আইনে বাধাগ্রস্ত হবে কেননা কোনটা প্রোপাগান্ডা কোনটা অপপ্রচার এইটা মাথায় রেখে লেখা বা গবেষণা করা দুরূহ। আগামী সেপ্টেম্বরে বিলটি পাসের পূর্বে বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের সাথে আইনমন্ত্রী মহোদয়ের বসা উচিত বলে মনে করেন সাংবাদিকরা।
আপনার মতামত লিখুন :