ArabicBengaliEnglishHindi

নানা আয়োজনে নুহাশ পল্লীতে পালিত হয়েছে হুমায়ুন আহমেদের দশম মৃত্যু বার্ষিকী


প্রকাশের সময় : জুলাই ১৯, ২০২২, ৬:৪০ অপরাহ্ন / ৭০
নানা আয়োজনে নুহাশ পল্লীতে পালিত হয়েছে হুমায়ুন আহমেদের দশম মৃত্যু বার্ষিকী

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি ->>

নানা আয়োজন আর ভক্তদের শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় গাজীপুরে পালিত হয়েছে কথা সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের দশম মৃত্যু বার্ষিকী। মঙ্গলবার( ১৯ জুলাই) দুপুরে লেখকের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন, দুই পুত্র নিনিত ও নিষাদের উপস্থিতিতে কবর জিয়ারত করেন তাঁর ভক্ত, কবি, লেখক আর নাট্যজনরা ভিড় জমান নুহাশ পল্লীর লিচু তলায়।

ফুল দিয়ে গভীর শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় স্মরণ করেন জনপ্রিয় লেখককে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হিমু পরিবহনে চড়ে আসেন হলুদ পাঞ্জাবী পড়া হিমুরা এবং বিভিন্ন সাজে রুপাদের পদচারণায় প্রাণ ফিরে পায় নুহাশ পল্লী। দিনটি পালনে দিনব্যাপী কোরআন খানি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে নুহাশ পল্লীতে। এছাড়া এতিমদের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হবে।

মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদকে স্মরণ করেছেন তার পরিবার, ভক্ত-অনুরাগী ও শুভানুধ্যায়ীরা। লেখকের ‘নন্দনকানন’ নুহাশপল্লীতে করোনাকালের বাস্তবতায় অনাড়ম্বর আয়োজনে কবর জিয়ারত ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

কবর জিয়ারত শেষে মেহের আফরোজ শাওন হুমায়ূন আহমেদের স্বপ্ন ক্যান্সার হাসপাতাল বিষয়ে শাওন বলেন, আমি খুব ক্লান্ত হয়ে যাই এই প্রশ্নের উত্তর দিতে। আমার একার পক্ষে এটা করা সম্ভব না। তার স্বপ্ন অনুযায়ী ক্যান্সার হাসপাতাল করার শক্তি অর্জন করতে পারিনি। সরকার যদি উদ্যোগ নেয় তাহলে হুমায়ূন আহমেদের সম্পদ দিতে তার পরিবার পিছপা হবে না। তবে সুসংবাদ হচ্ছে হুমায়ূন আহমেদের আরেকটি স্বপ্ন ছিলো তার গ্রামের স্কুল নিয়ে। সেটি অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ছিলো। এমাসেই সেটা এমপিওভুক্ত হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ২০১২ সালের ১৯ জুলাই ৬৪ বছর বয়সে আমেরিকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অসংখ্য ভক্তদের রেখে পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নেন হুমায়ূন আহমেদ। পরে ২৪ জুলাই গাজীপুর সদর উপজেলার পিরুজালী গ্রামে স্বপ্নের নুহাশপল্লীর লিচুগাছ তলায় প্রয়াত হুমায়ূন আহমেদের মরদেহ দাফন করা হয়। ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।