ArabicBengaliEnglishHindi

নীলফামারী ডিমলায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সরকারি গাছ কাটাসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ


প্রকাশের সময় : মে ৩০, ২০২২, ৮:৪৩ অপরাহ্ন / ৬৩
নীলফামারী ডিমলায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সরকারি গাছ কাটাসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ

জিকে রউফ নীলফামারী ->>
ডিমলার মধ্য ছাতনাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চলতি দায়িত্ব যোগদান করার পর থেকে অনিয়মের মাধ্যমে বিদ্যালয়টি পরিচালনা করে আসছেন। মধ্য ছাতনাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চলতি দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো: সাজ্জাদুল করিমের বিরুদ্ধে সরকারি গাছ কাটাসহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে। গ্রামবাসীর পক্ষে আবু বক্কর সিদ্দিক নামে এক ব্যক্তি ১৮ এপ্রিল উপজেলা ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর এই অভিযোগ করেছেন।

এঘটনায় ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো: হুমায়ুন কবির দেলু, মনোয়ারা বেগমসহ সাবেক প্রধান শিক্ষক বীরমুক্তিযোদ্ধা মো: লুৎফর রহমান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার মধ্য ছাতনাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: সাজ্জাদুল করিম চলতি দ্বায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে বিদ্যালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন।

তিনি বরাবরই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বৃন্দের সাথে অসৎ আচারণ করেন। কিন্তু তিনি প্রধান শিক্ষক হওয়ায় কেহই তার বিরুদ্ধে মুখ খোলেন না। সম্প্রতি তিনি বিদ্যালয়ের সরকারি ইউক্যালিপটাস ও মেহগনি গাছ বিদ্যালয়ের বিভিন্ন উপকরণ অবৈধভাবে বিক্রয় করেন। তিনি দ্বায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে সরকারি স্লিপ, রুটিন ও বিভিন্ন দিবস পালনের অর্থ আত্মসাৎ করেন। তাকে ভালো পরামর্শ দিতে গেলে তিনি ক্ষমতার দাপট দেখান।

যার কারণে শিক্ষকগণ সঠিকভাবে সততার সাথে কাজ করতে পারছেন না। তার এ ধরণের কার্যক্রমের ফলে জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল দেশ গড়ায় বিঘ্নিত হচ্ছে। এমতাবস্থায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক, অভিভাবক ও সচেতন মহল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: সাজ্জাদুল করিমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন। ওনার কাছে সরকারি বরাদ্ধকৃত টাকার কাজ ও ভাউচার দেখতে চাইলে তিনি সংবাদকর্মীদের দেখাতে অস্বীকার করেন এবং বলেন আপনারা ভাউচার দেখতে চাইলে শিক্ষা অফিসে আবেদন করেন।

এ সময় বিদ্যালয়ের সভাপতি ওয়াজেবুল করিম এর কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্কুলের বিল্ডিং কাজ চলমান রয়েছে তাই মালামাল যাতায়াতের জন্য কয়েকটি গাছ কাটা হয়েছে। এরপরও আর কোন উত্তর না দিয়ে ফোনটি কেটে দেন।

ডিমলা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নুর মোহাম্মদ জানান, আমি এখনো কোন অভিযোগ কপি পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করা হবে।