ArabicBengaliEnglishHindi

ভোজ্য তেলের ঘাটতি পূরণে সম্ভাবনাময় ফসল তেলজাতীয় সূর্যমুখী ফুল


প্রকাশের সময় : মার্চ ২০, ২০২২, ৭:১৪ অপরাহ্ন / ২২৯
ভোজ্য তেলের ঘাটতি পূরণে সম্ভাবনাময় ফসল তেলজাতীয় সূর্যমুখী ফুল
জামালপুর জেলা প্রতিনিধি ->>
এক অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রতীক সূর্যমুখী ফুলে ভরে গেছে আমেজ দর্জি ও ইসমাইল হোসেনের ক্ষেত। সূর্যের দিকে মুখ করে থাকে বলে এই ফুলকে সূর্যমুখী বলা হয়। সূর্যমুখী ফুলের ক্ষেতে একবার চোখ পড়লে তা ফেরানো কঠিন। বিজ্ঞানীদের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় উদ্ভাবিত তেলজাতীয় ফসল হাইসেন জাতের সূর্যমুখী ফুল চাষ করে আশার আলো দেখছেন কৃষকরা। দেশে ভোজ্য তেলের এই ঘাটতি মুহূর্তে তেলজাতীয় এই ফসল চাষ ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
জানা যায়, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তেলজাতীয় এই ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় চলতি মৌসুমে জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের গঙ্গাপাড়া গ্রামে ১০০ শতাংশ জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে এই তেলজাতীয় ফসল হাইসেন জাতের সূর্যমূখী চাষ করেছেন কৃষক আমেজ দর্জি ও ইসমাইল হোসেন। এতে বাম্পার ফলন ও ফুল ফোটায় সফলতার আলো দেখছেন তারা। প্রথম বছরেই ফুলের চাষ করে সফলতার মুখ দেখায় তাদের মুখে সূর্যমুখী ফুলের হাসি ফুটেছে। সূর্যমুখী ফুলের চাষ এই এলাকার ফুল প্রেমিদের কাছে দৃষ্টি আকর্ষণসহ হইচই ফেলে দিয়েছে। বিশাল সূর্যমুখী ফুল বাগানের খবর শুনে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বাগানটি দেখতে প্রতিদিন ভিড় ও সেলফি তুলছেন উৎসুক মানুষ। সূর্যমুখী ফুলের চাষ দেখে উদ্বুদ্ধ এলাকাবাসীর অনেকেই এই ফুল চাষ করারও কথা বলছেন।।
কৃষক আমেজ আলী দর্জি জানান, চলতি মৌসুমে কৃষি অফিসের সার্বিক পরামর্শ ও সহযোগিতা নিয়ে ৯০ শতাংশ জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছেন। সফলতার মুখও দেখছেন। আগামীতে এই চাষ আরও বাড়াবেন। ফুল ফোটার পর বিভিন্ন এলাকার মানুষ একনজর দেখার জন্য ভীড় করছে।
দর্শনার্থী মানিক মিয়া জানান, মানুষের মুখে শুনে সূর্যমুখী ফুলের ক্ষেতটি দেখতে এসে মন ভড়ে গেছে। আবার আসবো দেখতে।
উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী মিজানুর রহমান জানান, দেশীয় ঘানি ব্যবহার করে পরিপক্ক এই ফুলের বীজ থেকে তেল ভাঙ্গানো যায়। এই তেল ব্যবহারে স্বাস্থ্য ঝুঁকিও কম। তাই অন্যান্য তেলের তুলনায় এই তেলের চাহিদা বেশী। তাই আমরা এই তেলজাতীয় ফসল চাষে কৃষকদের উদ্ভুদ্ধ ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।
ইসলামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ. এল.এম রেজুয়ান জানান, তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে আগামী মৌসুমে উপজেলার অন্যান্য এলাকায়ও যেন এই সূর্যমুখী ফুলের চাষ করা যায় সে লক্ষ্যে বীজ, সারসহ প্রযুক্তিগত সার্বিক সহায়তা দেওয়া হবে। এই তেলজাতীয় ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে দেশের ভোজ্য তেলের ঘাটতি অনেকাংশে পূরণ করা সম্ভব হবে বলেও তিনি জানান।