ArabicBengaliEnglishHindi

হনুমানের পায়ে কোরআন রাখার মূল উদ্যোক্তা, ইকবাল নোয়াখালী জেলা কারাগারে


প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ১৭, ২০২২, ৯:০২ অপরাহ্ন / ২০২
হনুমানের পায়ে কোরআন রাখার মূল উদ্যোক্তা, ইকবাল নোয়াখালী জেলা কারাগারে

হাসানুর রশিদ ->>

বহুল আলোচিত কুমিল্লার মন্দিরে হনুমানের পায়ে কোরআন রাখার ঘটনার মূল উদ্যোক্তা। ইকবালকে নোয়াখালীর ৪টি মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে, জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে মন্দিরে হামলার ৩টি মামলায় ও কোম্পানীগঞ্জের ১টি মামলায় নোয়াখালী জেলা জোনের সিআইডি মঙ্গলব (১৫ ই ফেব্রুয়ারি) নোয়াখালী অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও আমলি আদালতে ইকবালকে হাজির করে ৪ টি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার আবেদন করে। নোয়াখালী জেলার অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজী সোনিয়া আক্তার ৩টি মামলায় ও আমলি আদালতের সিনিয়র বিচারক ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ এমদাদ ১টি মামলায় আসামি ইকবালের উপস্থিতিতে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে নোয়াখালীর জেলা কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

এ বিষয়ে নোয়াখালীর কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মোঃ শাহ আলম বলেন বেগমগঞ্জে থানার ৩টি মামলা ও কোম্পানীগঞ্জের দায়ের করা একটি মামলায় সিআইডি আসামি ইকবালকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে প্রেরণের এর আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত সিআইডি করা আবেদন মঞ্জুর করেন।

২০২১ সালের ১৩ ই অক্টোবর কুমিল্লার একটি মন্দিরে হনুমানের পায় কোরআন রাখা কে কেন্দ্র করে। সারাদেশে হিন্দু-মুসলমানদের মধ্যে দাঙ্গা এবং মন্দিরে হামলার ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ এর মাধ্যমে এই ঘটনার মূল উদ্যোক্তা হিসেবে ইকবাল কে চিহ্নিত করা হয়। পরে কক্সবাজার থেকে ইকবালকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই ঘটনায় নোয়াখালীতে মন্দিরে হামলার ঘটনায় ১৩ টি মামলা রুজু করা হয়। নোয়াখালীতে করা মামলাগুলোর ৬টি (সিআইডি) ৬টি (পিবিআই) ও ১টি মামলা বেগমগঞ্জ থানায় তদন্তাধীন আছে। সিআইডি তদন্তনাধীন ৬টি মামলার মধ্যে ৪টি মামলায় নোয়াখালীতে ইকবালকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। সে বর্তমানে নোয়াখালী জেলা কারাগারে আটক আছেন।