ArabicBengaliEnglishHindi

পল্লবীতে সন্ত্রাসী হামলার শিকার কৃষক লীগের সহ-সভাপতি মাকসুদুল ইসলাম


প্রকাশের সময় : অক্টোবর ২, ২০২২, ৭:১০ অপরাহ্ন / ১৪৩
পল্লবীতে সন্ত্রাসী হামলার শিকার কৃষক লীগের সহ-সভাপতি মাকসুদুল ইসলাম

নিজস্ব প্রতিবেদক ->>
আজ সকাল ১০ যটিকার সময় খুনি কসাই খলিলের ফাসির দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন ও মানববন্ধন করেছে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ এবং বাংলাদেশ কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও ঢাকা মহানগর উত্তর এর সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ মাকসুদুল ইসলাম। সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন আমার একটি প্লট আছে কালশী রোড সংলগ্ন ,পল্লবী থানাধীন, বাউনিয়া খতিয়ান নং-৩৪৪৬৬, দাগ নং-৪৩৬০১, প্লটের বৈধ কাগজপত্র নামজারি খাজনা-খারিজ, সবই আমার নামে প্লটটি আমার নামে ক্রয় কৃত। তিনি জানান দীর্ঘদিন যাবৎ ভোগ দখল করিয়া আসিতেছি। গত ২৮/০৯/২০২২ ইং তারিখ বুধবার দিবাগত রাত ২ টার সময় ওই প্লটের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সাদ্দাম হোসেনকে ফোন করে বলেন আমার প্লটে কে বা কারা ঘর তুলছে প্রথমে পল্লবী থানা অফিসার ইনচার্জ তদন্ত অফিসার কে ফোন করি। তাদেরকে না পেয়ে ৯৯৯ ফোন করি, করার পর পল্লবী থানার এস.আই জিতু যোগাযোগ করলে তাকে সাথে নিয়ে আমার প্লটে যাই। যেয়ে দেখি কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী ৫ নং ওয়াড আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ভূমিদস্যু খলিলুর রহমান ওরফে কসাই খলিল ৪০ থেকে ৫০ জন ঘর নির্মাণ করছে। কারণ জানতে চাইলে খলিল তার দলবল সহ ধর শালারে মাইরা ফালা গুলি কইরা মাইরা ফালা আমার উপরে হামলা চালায় এবং খলিলের হাতে থাকা চাপাতি দিয়ে আমার মাথায় কোপ দেয়। আমি অজ্ঞান হয়ে পরি আমার জ্ঞান ফিরে আসলে দেখতে পাই আমিন ঢাকা মেডিকেল কলেজের বিছানায় শুয়ে আছি। ঐ দিন পল্লবী থানায় এসে ১৮ জনের নামে উল্লেখ করে ২০ থেকে ২৫ জনকে অজ্ঞাত রেখে মামলা দায়ের করি য়াহার নম্বর ৮২-২৮/০৯/২০২২,পল্লবী থানায়। বিদেশে অবস্থিত তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী অপরিচিত নাম্বার থেকে আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি এবং আমার প্লটে আমি না যাই এবং খলিল ও তার সহযোগী তাদের নামে যেন কোনো মামলা না করি। কথা অমান্য করলে আমাকে জানে মেরে ফেলা দেওয়ার হবে এবং আমাকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করতে থাকে।পরিচয় জানতে চাইলে একজন জিসান বলে পরিচয় দেয়। আমি বর্তমানে আমার জান মাল এবং দুই কন্যাসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি। ইতি পূর্বে ঘটনা আঁচ করতে পেরে ফোনে উল্টা পাল্টা হুমকি কারণে পল্লবী থানায় পর পর তিনটি সাধারণ ডায়রী করি য়াহার নম্বর যথাক্রমেঃ-১১৬৮,১৬৪১,১৬৪২ থানা পল্লবী। বিএনপি জামাত থেকে উঠে আসা অবৈধ টাকার বিনিময় আওয়ামীলীগ পথ দখল করে বিভিন্ন অপকর্ম করে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে এই খলিল। (১) ২০০১ সালের পর বিএনপি জামাত ক্ষমতায় থাকা কালীন খলিল ছিল বিএনপি নেতা। ২০০৬ সালে এক বাড়ি দখল করতে গিয়ে এক গর্ভবতী মহিলাকে লাথি মেরে হত্যা করে যে মামলা আজও চলমান।(২) কৃষক লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপির পলাশ নগরের একটি প্লট দখল করছে এই খলিল। (৩) লালমাটিয়া টেম্পু স্টান্ডে ম্যাচের আলীর প্লট দখল করে নিজ নামে অফিস করছে। (৪) খলিলের স্ত্রী যার নাম ইয়াবা বিথী কিশোর গ্যাং তৈরি করে অবাদে ইয়াবা মাদক ব্যবসা করে প্রচুর টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এযাবৎ কালে কসাই খলিলের নামে যে মামলা হয়েছে। (১) মামলা নং- পল্লবী থানা-৪৪৯/২০, বাদী হারুন-অর-রশিদ। (২) মামলা নং-৮৪(১০)১৯ পল্লবী থানা- চাঁদাবাজি প্লট দখল (৩) মামলা নং-২৭(১০)১৯ পল্লবী থানা বাদী নাজমা হোসেন,চাঁদাবাজি প্লট দখল। (৪) মামলা নং-৩৪(১০)২০ বাদী-খালেকুজামান চাঁদাবাজি প্লট দখল। (৫) মামলা নং-৫৬(৭)২০০৮ বাদী- রেহানা। (৬) মামলা নং – ৭৮(৮)২০০৮ বাদী রেহেনা – হত্যা মামলা। (৭) মামলা নং-৮২(৯)২০২২পল্লবী থানা বাদু ফাতেমা। (৮) জিডি ২৮/৩৮-৩০/৬০/২০২১। জিডি ৫৩৪-০৬/০২/২০২১ বাদী মেছের আলী। জিডি ২৩০৯-২২/১০/২০২০। তিনি আরো বলেন এই কসাই খুনি ওরফে ভূমিদস্যু, গুন্ডা খলিল বাহিনী প্রায়, প্রায় নিরহ লোকজনদের উপর অতর্কিত হামলা – মামলা করে থাকে।