এস এম জীবন >>
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন (বিআরটিএ) মিরপুর কার্যালয় ঘিরে সক্রিয় একাধিক নামধারী সাংবাদিক দালালচক্র। কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশেই এ চক্র গড়ে উঠেছে। আর এ দালালচক্রই নিয়ন্ত্রণ করছে মিরপুর বিআরটিএ কার্যালয়। দালাল ও কর্মকর্তারা মিলে প্রতি মাসে অবৈধভাবে হাতিয়ে নিচ্ছেন কোটি টাকা।
সেবাগ্রহিতারা বলছেন, বিআরটিএ কার্যালয়ে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় কোনো সেবা মেলে না। দালাল ছাড়া কাজ করতে গেলে হয়রানি ও ভোগান্তির শেষ থাকে না।নানা অজুহাত দেখিয়ে সেবাগ্রহিতাদের হয়রানি করেন কর্মকর্তারা।তবে কর্মকর্তারা হয়রানি ও দালালদের দৌরাত্ম্যের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।তারা বলছেন, কোনো হয়রানি ছাড়াই স্বাচ্ছন্দ্যে সেবা পাচ্ছেন নাগরিকরা।
তবে বেশ কিছু দিন পূর্বে যদিও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের কয়েকবারই ঘোষণা দিয়েছেন, বিআরটিএ এখন দালালমুক্ত। এখন সাধারণ মানুষ সেখানে নির্বিঘ্নে সেবা পায়। অনুসন্ধানে জানা যায়, যে যাই বলুক দালালদের সহায়তা ছাড়া মিরপুর বিআরটিএ কার্যালয়ে সেবা পাওয়া দুষ্কর। সবধরনের গাড়ির ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হলেও টাকার বিনিময়ে মিলছে লাইসেন্স। তবে এই অসাধ্য কাজটি সম্ভব করেন সাংবাদিক নামধারী একটি দালাল চক্র, অনুসন্ধানে কয়েক জনের নাম আসে জনতার বাংলার হাতে, মোঃ জুয়েল (৩৬), মোঃ আব্দুর রহিম (৩৫), গোলাম রব্বানী (৩৬)। আরো বিস্তারিত আসছে আগামী সংখ্যায়। (৩ পর্বের ১ম পর্বে)
আপনার মতামত লিখুন :